আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আমাদের বিয়ের এক বছর উপলক্ষে আমি যদি আমার জাওয কে কিছু হাদিয়া দেই তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?এমনি তেও তো মাঝেসাঝে টুকটাক দেওয়া হয়,এটাও সেরকম কিছুই।

কোনো আলাদা উদযাপন কিংবা আনুষ্ঠানিকতা নয়।কেবল একটা ওসিলা করে সামান্য হাদিয়া দেওয়া আর কি!এটা কি জায়েয হবে?
যদি এই দিন উপলক্ষে কিছু না দেওয়া যায়,তাহলে কি এই দিনের আগে-পরের সময়ে কিছু দেওয়া যাবে উনাকে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বিবাহ বার্ষিকী পালন ইসলামি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং এটি বিজাতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। আর বিজাতীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।

যারা বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ করবে তাদের হাশর নাশরও বিজাতীয়দের সাথে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

من تشبه بقوم فهو منهم

‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ ২/৫৫৯]

ভারতের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের অনলাইন ফতোয়া বিভাগে এ সম্পর্কে ফতোয়া দিয়েছেন। তাদের ফতোয়া অনুযায়ী, ইসলামি শরিয়তে এর কোনো স্থান নেই। কারণ জন্মদিন কিংবা বিবাহবার্ষিকী পালন পশ্চিমা তথা- ইয়াহুদি, খ্রিস্টানদের থেকে আসা প্রচলন।

ফতোয়ায় তারা উল্লেখ করেন, ‘হজরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামদের সন্তান জন্ম নিয়েছে। তাঁরা বিবাহও করেছেন। কিন্তু হাদিস কিংবা ইসলামের ইতিহাসের কোনো বর্ণনায় এমনটি পাওয়া যায় না যে, ‘তারা প্রতি বছর (তারিখ) আসলে বা অতিবাহিত হওয়ার সময়কালে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে কাঙিক্ষত দিন ও ক্ষণ উদযাপন (এ উপলক্ষে বিশেষ আমল-ইবাদত) করেছেন। কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন।

আরো  জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/3823/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

বিবাহ বার্ষিকী পালন করা ইসলামি শরিয়তে বৈধ নয়। এমনিতে গরীবকে খাওয়ানো, সাদকা দেওয়া, নফল নামাজ পড়া, তাওবাহ-ইসতেগফার করা এবং কাউকে উপহার দেওয়া ইত্যাদি সাওয়াবের কাজ। কিন্তু জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নির্দিষ্ট দিনে এ কাজগুলো না রাই শ্রেয়।

বরং এসব ইবাদত বা ভালোকাজ এক/দুইদিন আগে বা পরে করা যেতে পারে যাতে পশ্চিমা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের রীতিনীতির অনুসরণ না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উস্তাদ যদি এই দিনেই উনার জন্য উনার পছন্দের কোনো রান্না করি,তাহলেও কি বিজাতীয় দের অনুসরণ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...