بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীসে
আস সালাতু খইরুন মিনান নাউম এর কথা এসেছে:
عن أَبِي
مَحْذُورَةَ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي سُنَّةَ الْأَذَانِ؟،
قَالَ: فَمَسَحَ مُقَدَّمَ رَأْسِي، وَقَالَ: " تَقُولُ: اللَّهُ أَكْبَرُ
اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، تَرْفَعُ بِهَا صَوْتَكَ،
ثُمَّ تَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا
إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَشْهَدُ
أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، تَخْفِضُ بِهَا صَوْتَكَ، ثُمَّ تَرْفَعُ
صَوْتَكَ بِالشَّهَادَةِ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنْ
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَشْهَدُ
أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى
الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، فَإِنْ كَانَ صَلَاةُ
الصُّبْحِ قُلْتَ: الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ، الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ
النَّوْمِ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ "،
মুহাম্মাদ
ইবনু ‘আবদুল মালিক ইবনু আবূ মাহযূরাহ হতে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি [আবূ
মাহযূরাহ (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আযানের
নিয়ম শিখিয়ে দিন। তিনি আমার মাথার সম্মুখ ভাগে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি বলবেঃ
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার-উচ্চস্বরে।
এরপর কিছুটা নীচু স্বরে বলবেঃ আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু
আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু
আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা ‘আলাস সলাহ, হাইয়্যা ‘আলাস সলাহ। হাইয়্যা
‘আলাল ফালাহ, হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ। ফজরের সালাত হলে
বলবেঃ আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম, আসালাতু খাইরুম মিনান নাউম
(ঘুমের চেয়ে সালাত উত্তম-দু’বার)। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ। (আবু-দাউদ-৫০০,নাসাঈ-৬৪৭)আলবানী হাদীসকে
সহীহ বলেছেন।‘
আজান শ্রবণকারীরও
মৌখিকভাবে আজানের উত্তর দেয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে
মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ৬১১)।
আজানের
জবাব দেয়ার পদ্ধতি:
আজানের
জবাব দেয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য
বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা
আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’
বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৫)।
তবে কোনো
কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ
বলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস:
৪৫৮)।
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউমের জবাব:
ইসলামি
ফিকহের বিভিন্ন কিতাবের বর্ণনামতে, ফজরের আজানে ‘আসসালাতু খাইরুম
মিনান নাউম’-এর জবাবে ‘সাদাকতা ও বারারতা’ পড়বে। কিন্তু হাদিস ও সুন্নাহে এর কোনো প্রমাণ
পাওয়া যায় না। তাই বিশুদ্ধ মতানুসারে এর জবাবেও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ ‘আসসালাতু খাইরুম
মিনান নাউম’ বলাই উত্তম। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে, আজানের জবাবে তোমরাও মুয়াজ্জিনের
অনুরূপ বলবে। (তাকরিরাতে রাফেয়ি: ১/৪৭ আহসানুল ফাতাওয়া: ১০/২০৬)।
আসসালাতু
খাইরুম মিনান নাউম’-এর জবাব হলো ‘সাদাকতা ওয়া বারারতা’। এ বাক্যের অর্থ হলো, হে মুয়াজ্জিন!
তুমি ঠিক বলেছ যে, ঘুমের চেয়ে নামাজ ভালো। তাই
ঘুম ছেড়ে নামাজ পড়তে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার এই নামাজের
যদি প্রতিদান পেয়ে থাকি তাহলে হে মুয়াজ্জিন, তুমিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
কারণ তুমিই তো আহ্বান করে মসজিদে আমাকে নিয়ে এসেছ।