আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সম্মানিত শায়েখ। এক মেয়ের ব্যাপারে আমার বিয়ের কথা চলছে।মেয়েটি এক বছর আগে কাবিন নামার ১৮ নং ধারা অনুযায়ী স্বামী থেকে তালাক নেয়।কিন্তু ১৮ নং ধারা সম্পর্কে স্বামী অবগত হয়ে স্বাক্ষর করেছে কিনা এবং অবগত হলেও স্বামী কোন শর্ত ভংগ করেছে কিনা সেটস নিয়ে আমার মনে সংশয় দেখা দেয়।তাই মেয়ের অভিভাবক কে আমি স্বামী থেকে তালাক /খোলা নিতে বলেছি।এখন এ অবস্থায় যদি তালাক/খোলা নেয় তাহলে -

(১) খোলা তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী /স্ত্রী একই মজলিশে থাকা কি আবশ্যিক?

(২)স্ত্রীর পক্ষ থেকে তার বাবা /দাদা উপস্থিত থাকলে হবে?

(৩) এ ক্ষেত্রে ইদ্দত পালন করতে হবে?
(৪)ইদ্দত চলাকালীন বিয়ের উদ্দেশ্যে আমি পাত্রীকে দেখতে পারব?

(৫)ইদ্দত চলাকালীন এ কথা বলা যাবে যে, ইদ্দত শেষে আমি বিয়ে করব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506

খুলা তালাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/22779

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী যদি বাস্তবেই স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়,তাহলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিতে পারবে।নতুবা স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিতে পারবে না।

(১)
খুলা তালাকের জন্য মজলিস শর্ত নয়।স্বামীর সন্তুষ্টি শর্ত।

(২)
জ্বী, হবে।

(৩)
জ্বী, ইদ্দত পালন করতে হবে।

(৪)
ইদ্দত পালনকারী সময়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া জায়েয হবে না।

(৫)
ইদ্দত সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পরই বিয়ের আলোচনা করতে হবে। তবে আকার ইঙ্গিতে বুঝানো যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
সম্মানিত শায়েখ উত্তর দেওয়ার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
শায়েখ আকার ইংগিতে কিভাবে প্রস্তাব দেওয়া যায় সেটা একটু বুঝিয়ে বললে উপকৃত হতাম।
by (597,330 points)
বিষয়টা সহজ করে বলুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...