আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
229 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ
১)
বর্তমানে আমরা যে ক্যালেন্ডার/গুগলে/অন্য কোনো অনলাইনের সময় অনুযায়ী নামাজ পড়ি, আজান দিই,ইফতারি করি,সাহরী করি।। এটা কতটুকু শরিয়ত সম্মত অর্থাৎ ঐগুলোতে যে টাইম দেয়া আছে তার অনুযায়ী ইবাদত পালন করতে পারবো কি??কতটুকু সহিহ হবে??
যদি না পারি তাহলে বিকল্প কি করা যায়।
বিশেষত ইফতারি করার বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ!
যদি সামান্য একটু ভুলের কারনে আমার রোজা না হয়!

২)আমরা সাধারণত একটা ক্যালেন্ডার দেখতে পাই যেটার নাম "" নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার" এটার টাইম কতটুকু নির্ভরযোগ্য এবং এটা কে লিখেছে?

৩)শুনেছি মুফতি আমিমুল ইহসান বাংলাদেশে সর্বপ্রথম  এই নামাজ রোজার বছরব্যাপী একটা টাইম নির্ধারণ করেছেন অনেক তাহকিক করে এবং এই বিষয় নাকি তিনি অনেক পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন।।
এবং তিনি নাকি একটা নামাজ রোজার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ও তৈরি করেছিরেন এটা কতটুকু সঠিক??এবং তার তাহকিককৃত সময় গুলো কতটুকু নির্ভুল ?
যদি ক্যালেন্ডার করে থাকেন তাহলে আমরা কি সেটি মানতে পারবো বর্তমানে।।
৪)বর্তমানে রোজার আগে ইসলামি ফাউন্ডেশন কতৃক একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করে দেয়া হয় যেখানে সাহরি ইফতারের সময় থাকে।। প্রশ্ন হলো তারা এই সময় কিভাবে কোথায় থেকে নির্ধারণ করে থাকেন?

৫)অনেক সময় এক ক্যালেন্ডারের টাইমের সাথে অন্য ক্যালেন্ডারের টাইমের মিল থাকে না সে ক্ষেত্রে কি করনীয়??
এবং বর্তমানে মোবাইলে ইসলামিক কিছু এ্যাপ ও রয়েছে যেখানে নামাজ,ইফতারের সময় লেখা থাকে।।
যেমন কওমি ওলামাদের তত্বাবধানে পরিচালিত এ্যাপ ""মুসলিম বাংলা""।। এটা অনুযায়ী কি আমরা ইফতার সাহরি নামাজ ইত্যাদি আদায় করতে পারবো??
৬)মাগরিবের আজানের সময় আর ইফতারের সময় দুটোই কি একই??
এটা জিজ্ঞেস করার কারন হল রমজানে দেখা যায় ঠিক  ইফতারের সময়ই আজান দেওয়া হয়।কিন্তু রমজান ব্যাতিত ইফতারের টাইম যখন হয় তখন আজান দেয়া হয় না,,এর কারন কি??
ইফতারের টাইমের ও ৫-৭ মিনিট পরে আজান দেওয়া  হয়।। সেক্ষেত্রে যদি এমন হয যে, ইফতারের টাইম হয়েছে কিন্তু আজান দেয়নি, আমি যদি ইফতারি করে নি কোনো  সমস্যা হবে কিনা??
গতকালের ঘটনা আমরা রোজা ছিলাম। ইফতারি+ সাহরির টাইম দেখতে গেলাম কয়েক জায়গায় ((উল্লেখ্য আমাদের লোকেশন চট্টগ্রামের হাটহাজারী)) ১,মুসলিম বাংলা এ্যাপে সেখানে টাইম ছিল ইফতারি ৬:৩১,, সাহরি শেষ ৪:০০
২,গুগলে সেখানে টাইম ছিল ইফতারি ৬:৩০,,সাহরি ৪:০৬
৩,নামাজ রোজার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে দেখলাম মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু ৬:৩৬
উল্লেখ্য সবগুলো টাইমের সাথেই ইসলামিক ফাইন্ডেশন কতৃক অতিরিক্ত টাইম যোগ করা ছিল।।

সন্দেহর বিষয় ছিলো ১নং এবং ৩ নং পয়েন্ট নিয়ে।।
একজায়গায় ৬:৩১ অন্য জায়গায় ৬:৩৬ এতো বেশি ডিফারেন্স হওয়ার কারন কি??

আমরা ইফতারি করেছিলাম ৬:৩১
ঐ দিকে নামাজ রোজার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে টাইম ছিল ৬:৩৬
আর মসজিদে মাগরিবের আজান দিলো ৬:৪১
আজান এতো টাইম পরে দেওয়ার কারন কি??

৭)নামাজ রোজার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারের তথ্য কি গ্রহণযোগ্য??

বর্তমানে আমাদের কোন টাইম অনুযায়ী আমল করা উচিত?
কোনটা বেশি নির্ভরযোগ্য হবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করে নিবেন। নীচে পিডিএফ ফাইলের লিংক দেয়া রয়েছে।

https://drive.google.com/file/d/1b-EOxlwYk90KVMbucMXUc7HBIuW25Bkd/view?userstoinvite=*Emails are not allowed*&ts=62c76a10

(২)
যদি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত থাকে, তাহলে তা নির্ভর্যোগ্য। এটা মুফতী আমীমুল ইহসান রাহ, কর্তৃক রচিত। এটা গ্রহণযোগ্য।

(৩)
জ্বী, মুফতি আমীমুল ইহসান সাহেবের ক্যালেন্ডার সঠিক।

(৪)
তারা সূর্যের গতিবিধি কে লক্ষ্য করে হাদীসের সাথে মিলিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরী করে থাকেন। কেননা হাদীসে প্রত্যেকটি নামাযের একটা সময় দেয়া রয়েছে।

(৫)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিক ক্যালেন্ডারকে ফলো করে নিবেন।

(৬)
সূর্যাস্তের সাথে ইফতার এবং মাগরিবের নামায উভয়টাই সংশ্লিষ্ট। ক্যালেন্ডারে যখন সূর্যাস্ত দেখবেন, তখন মাগরিবের সময়ও হয়ে যায় এবং ইফতারের সময়ও হয়ে যায়। সূর্যের গতিবিধি কে নির্ধারণ করতে যেয়েই মূলক মতপার্থক্য হয়েছে।

(৭)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারটাই গ্রহণযোগ্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...