আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।এখানে করা প্রশ্ন গুলোর মধ্যে অনেক গুলো আমার মনে সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা আসে তাই করেছি। জানি না ঠিক স্বামী কি বলেছিল বা আমি কি বলেছিলাম মনেও নেই।সন্দেহ নিয়ে করেছি।আমি চাই আমার স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।কিন্তু আগে এসব কেনায়া বিষয় নিয়ে জানতাম না।জানার পর থেকে ভয়ে আছি।কি বলেছিল ঠিক কখন বলেছিল স্পষ্ট কিছুই মনে নেই।আমি কথা বেশি ভুলে যায়,আর ওয়াসওয়াসাও বেশি আমার।তাই আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্নগুলো করেছি।কারন স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।আবার কিছু প্রশ্ন আমার ও নই।দয়া করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।

১।স্ত্রী দূরে থাকে।মানে স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকে এখনো নামিয়ে নেয় নি।স্ত্রী বাবা মা মানতেছে না বিয়েটা।তহ স্ত্রী কিন্তু ঠিকি স্বামীর সাথে থাকতে চায়।স্ত্রী হাতে মেহেদি দিচ্ছে ওই হাতের ছবি স্বামীকে দিছে।মেসেজেই কথা হচ্ছিল।স্বামী মেহেদি লাগানো পছন্দ করে তাই দিছে।তহ স্বামী বলে দাও দাও।এরপর স্বামী বলে কি শ্বশুর বাড়ি থেকে দেখতে আসবে নাকি? মানে অন্য কোথাও থেকে দেখতে আসবে নাকি সেটা বুঝিয়েছে।স্ত্রী বলে এটা কেন বললেন? স্বামীকে সরাসরি কোন নিয়তে বলেছে সেটা জিগ্যেস করে নি কারন স্বামী রেগে যায়, আর বারন করেছিল আগে এই বিষয়ে কোন কথা না বলার জন্য তাই জিগ্যেস করে নি। তহ এরপর স্বামী হাসে।এরপর আরো কয়েকবার জিগ্যেস করে স্বামী কিছু বলে নি।এরপর স্ত্রী যখন বলে আমি মরে গেলে ভাল হবে, কারন স্ত্রী ভয় হচ্ছিল কেন বলেছে।স্বামী বলে মাইর  দিব।স্ত্রী এর পর ও জিগ্যেস করেছে কেন বলেছেন তহ।বার বার বারন করি এমন কথা না বলতে, ভয় লাগে আমার।স্বামী কিছু বলে নি।স্বামীর কথাটা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে? স্ত্রীর ভয় হচ্ছে। কোন ঝগড়াও হচ্ছিল না।

২।স্বামী স্ত্রীর মেসেজে কথা হচ্ছিল।স্বামী একটা ভিড়িও  দেয় নাটকের।ফেসবুক ভিড়িও।সেখানে লিখা ছিল "ডিভোর্সের পর বদলে গেল তাহসান"।স্ত্রীর  খুব ওয়াসওয়াসা আছে।স্ত্রী বলে কি জন্য দিছেন? স্বামী বলে দেখ না কথা গুলো।স্ত্রী বলে না দেখব না এখন ডিলেট করেন। এই ধরনের  ভিড়িও দিবেন না। আমার ভয় লাগে।স্বামী ডিলেট করে দেয়।স্বামী বলে এত ভালবাস? স্ত্রী বলে আমার ভয় লাগে।আসলে স্ত্রী মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।যদি স্বামী ভুলভাল কিছু বলে ফেলে এটা ভেবে ভয় পেয়ে যায়।স্বামী ভিড়িওটা দেখার জন্য দিয়েছিল কিছু বলে নি ভুলভাল।ভিড়িওটা দেওয়াতে কি কোন সমস্যা হবে?

৩।স্ত্রীকে তালাকের পাওয়ার দিলেও স্বামী স্ত্রী জানেই না যে ইসলামী শরীয়তে মেয়েরাও পারে যে সেটা।মুখে পাওয়ার দিয়েছিল ।এখন জানছে যে আগে জানত না।তহ স্ত্রী  এমনিতে অন্য সময়,আগে রাগ করে যদি বলে আজ থেকে আমি মৃত তুমার জন্য।স্বামীকে এ কথা বললেও কোন নিয়তে বলেছে জানে না।কারন সে এমনিতে রাগ বা অভিমান করে বলেছিল হয়ত।এখন মেয়েরা যে অধিকার পায় বা তার স্বামী পাওয়ার দিছে সেটা জানার পর থেকে ওয়াসওয়া আর ভয় আসতে থাকে কেন বলেছিল বা কোন নিয়তে বলেছিল সেটা ভেবে।জানে না কোন নিয়তে বলেছিল।কথাটা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?কারন কথাগুলো বলার সময় সে এই বিষয়ে জানত ও না।

৪।বিষয়টা আমার নয় মানে আমার প্রশ্ন নই।

স্ত্রী যদি তালাক চায়।স্বামী যদি বলে প্রতিনিয়ত তালাক চায় যে এমন মেয়ে চায় না বা লাগবে না বা প্রয়োজন নেই।কথা গুলো যদি মেসেজে হয়।এসব কথা ধমকের জন্য বললে বা  নিয়ত ছাড়া বললে কি কিছু হবে?কোন ওয়াজে যেন শুনেছিলাম এ কথা গুলো দ্বারা সমস্যা হয় না।মনে হয় এগুলো কেনায়া শব্দ ।ঠিক জানি না।দয়া করে উত্তর দিবেন।

৫।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রী মেসেজে কথা বলে আর মনে করেন স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকে।কোন স্ত্রী  মেসেজে যদি স্ত্রী বলে থাকব  না তুমার সাথে বা সংসার করব না তুমার সাথে।স্বামী যদি  এমনিতে বলে ঠিক আছে  থাকিও  না, বা করিও না, বা ঠিক আছে  থাকিও না/করিও না জোর করব না।এ কথা নিয়ত ছারা বললে কি তালাক হবে?এটাও জানার জন্য।এই প্রশ্নটা মনে হয় আমি আগেও করেছিলাম এখানে।তালাক হবে না বলেছিল মনে হয়।ঠিক। মনে নেই।কারন আপনি (ওলি উল্লাহ হুজুর) বলেছিলেন  মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পরপর স্বামী কেনায়া বাক্য বললে মানে তালাক চাওয়ার উত্তরে বললে হয়ে যাবে যে।এইখানে তহ স্ত্রী তালাক ও চায় নি আর স্বামী কেনায়া শব্দ ও বলে নি।জানি না হুজুর।দয়া করে বলবেন।জানি না ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা।সন্দেহ নিয়ে ও জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।

৬।এই বিষয়টা ঠিক আমার না।কারন ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।ধরেন স্বামী অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলেছে জেনে স্ত্রী বলে।এখন তহ আমাকে লাগতেছে না,এখন তহ ছুড়ে ফেলে দিবেন আমার প্রয়োজন শেষ ইত্যাদি ।স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে বা ছেড়ে দিব বলে তাহলে কি সমস্যা হবে?মানে  স্বামী যদি বলে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি কোনদিন।ধরেন কথাগুলো মেসেজে হচ্চিল।কিন্তু স্ত্রী তহ তালাক চায় নি।ধরেন স্ত্রী রাগ বা অভিমান বা ঝগড়া করে বলেছে মেসেজে।  দয়া করে বলবেন।

৭।এই টা আরেকটা প্রশ্ন।এই  বিষয়টা ঠিক আমার না।কারন ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।ধরেন স্বামী অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলেছে জেনে স্ত্রী বলে।এখন তহ আমাকে লাগতেছে না,এখন তহ ছুড়ে ফেলে দিবেন আমার প্রয়োজন শেষ,বা এখন তহ ছেড়ে দিবেন আমার আর প্রয়োজন নাই।স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে বা ছেড়ে দিব বলে তাহলে কি সমস্যা হবে?মানে  স্বামী যদি বলে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি কোনদিন। ধরেন কথাগুলো মেসেজে হচ্চিল।কিন্তু স্ত্রী তহ তালাক চায় নি।ধরেন স্ত্রী রাগ বা অভিমান বা ঝগড়া করে বলেছে মেসেজে।  দয়া করে বলবেন।

৮।এটাও জানার জন্য।কোন স্ত্রী যদি রাগ বা অভিমান বা ঝগড়া করে বলে আমাকে তহ লাগতেছে না আর,আমি চলে যাব।স্বামী যদি বলে যাইলে যাওগা একটা গেলে আরেকটা আসবে বা বলে চলে যাও।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাহলে কি কিছু হবে?মানে ধরেন মেসেজে কথা গুলো বললে?

৯।এটা আমার প্রশ্ন না।এটা এমনিতে জানার জন্য।স্ত্রী ধরেন স্বামীর সাথে তুই তাই ব্যবহার করতেছিল কিন্তু গালি দেয় নি।ধরেন স্বামী বলল তুই তাই বা এমন ব্যবহার করলে তালাক হবে।তহ স্ত্রী তুই তাই ব্যাবহার করে নি। রাগের মাথায় একটা গালি দিয়েছে।তখন ও তুই তাই ব্যাবহার করে নি ধরেন।তখন ও আপনি বলে সম্বোধন করেছে ধরেন।তহ তুই তাই ব্যাবহার না করে গালি দেওয়ার কারনে কি তালাক হবে?

১০।৯ং টা আমার প্রশ্ন নই।মানে আমার স্বামী এরকম শর্ত যুক্ত তালাক দেয় নি।এমনিতে তুই তাই ব্যাবহার না করতে বলেছে।মনে হয় ভবিষ্যৎ এর দিকে ইন্গিত করে কি একটা বলেছিল।মনে নেয়।যদ্দুর মনে পড়ে শর্ত যুক্ত তালাক দেয় নি।আমি শুধু এক্সট্রা কিছু জানার জন্য এমনিতে জানার জন্য অন্যের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্নটা করেছি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,400 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর উক্ত কথার দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
ভিডিওটা দেওয়াতে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

তবে নিয়ত ছাড়া "ছেড়ে দিলাম" বললে তালাক হয়ে যাবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৮)
তালাকের নিয়ত বলার দরুন তালাক হবেনা।

(০৯)
না,তালাক হবেনা।

তবে এটি শর্তযুক্ত তালাকের বাক্য।
পরবর্তীতেতেও তুই বললে তালাক হয়ে যাবে।

(১০)
শর্ত যুক্ত তালাক না দিলে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...