হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اللهُمَّ ارْزُقْ آلَ مُحَمَّدٍ قُوتًا.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করতেনঃ হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারবর্গকে জীবিকা নির্বাহ পরিমাণ রিযক দান কর। [মুসলিম ১২/৪৩, হাঃ ১০৫৫, আহমাদ ১০২৪১] (বুখারী ৬৪৬০.আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৬)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «
اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا
» وَفِي رِوَايَةٍ «كفافا» . مُتَّفق عَلَيْه
আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.)-এর পরিবার-পরিজনকে জীবিকা নির্বাহ পরিমাণ রিযক দান করো। অপর এক বর্ণনায় আছে, প্রয়োজন পরিমাণ।
(সহীহ: বুখারী ৬৪৬০, মুসলিম ১২৬-(১০৫৫), তিরমিযী ২০৬১, ইবনু মাজাহ ৪১৩৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ ১২৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ৩২২৯, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩৪৩৭৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৩৪৪, শুআবুল ঈমান ১৪৫৪, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ২৯৭৬।)
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
(آلِ مُحَمَّدٍ)
“মুহাম্মাদ-এর পরিবার”-এর দ্বারা উদ্দেশ্য তার সন্তানাদি ও স্ত্রীবর্গ এবং মুহাম্মাদ (সা.)-এর অনুসারীগণ ও তার প্রকৃত বন্ধুগণ।
(قُوتًا) এর শাব্দিক অর্থ হলো খাদ্য যা দ্বারা মানুষ জীবনযাপন করে। এখানে(قُوت) দ্বারা উদ্দেশ্য মানুষের কাছে হাত না পেতে জীবন যাপনের সামগ্রী অর্জন করা যা তার ক্ষুধা নিবারণ করে।
(اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا) আলোচ্য হাদীসের ব্যাখ্যায় ‘আল্লামাহ্ ইবনু বাত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : উল্লেখিত হাদীসে স্বল্প জীবিকার ফাযীলাত পাওয়া যাচ্ছে এবং আখিরাতের অবিনশ্বর ও অফুরন্ত নি'আমাতের আশায় দুনিয়ার মায়া বর্জনের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়েছে। অতএব উম্মতের সবার জন্য বিষয়টি ভেবে দেখা অত্যন্ত জরুরী।
‘আল্লামাহ্ কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : হাদীসের অর্থ হলো স্বল্প জীবিকা অন্বেষণ করা। কেননা হাদীসে বর্ণিত (القوت) শব্দটি ব্যবহৃত হয় ততটুকু পরিমাণ বুঝাতে যতটুকু পরিমাণে শরীর সুস্থ থাকে এবং প্রয়োজন পূরণ হয়। আর এ অবস্থায় সম্পদের স্বল্পতা আর আধিক্যতার সব রকমের বিপদ আপদ দূর হয়ে যায়। (ফাতহুল বারী ১১শ খণ্ড, হা. ৬৪৬০; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৩৬১; মিকাতুল মাফাতীহ)