আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)

১.আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমি অনেক দিন আগে আপনাকে একটিপ্রশ্ন করেছিলাম যে, আমার স্ত্রীর সাথে গল্প করার সময় আমার স্ত্রী আমাকে বলে যে যদি আমার বিশেষ অংগ বড় না হয়। তখন আমি মজা করে বলেছিলাম  যে তাহলে তোমাকে ছেড়ে দেব।৷ এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে। এর দারা তালাক হবে না। কারন এটি ওয়াদামুলক বাক্য।
হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে- এটিতো হানাফি মাযহাবের মত। কিন্তু অনান্য মাযহাব বা আহলে হাদিসের এ ব্যাপারে কোন ভিন্ন মত আছে নাকি।

২.হুজুর আমি প্রচন্ড ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি। আল্লাহর নামে বাজে কথা বা গালি মনে আসতেছে। আমি জানি এটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা। আজকে একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তা করছিলাম। নামাজের মধ্যে ও অই বিষয়ে মনে হয়েছিল।  তখন নামাজের মধ্যে আমি তাসবিহ পরতে পরতে মনে মনে একটা কটু কথা বলি বা গালি দেয়। এখন আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে যে এটা আমি কি   আল্লাহ কে এই রকম বল্লাম নাকি শয়তানের ওয়াসওয়াসার জন্য   বল্লাম। হুজুর আমি নামাজ পড়ি।  । ঈমান ভংগের কারন জানার পর ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি। ইসলামের হালাল হারাম মেনে চলার চেষ্টা করি। হুজুর  মনে মনে অই রকম বলার দারা কি আমার ঈমানের কোন    সমস্যা হবে?  হুজুর নামাজ শেষে আমি ইস্তিগফার পড়ি। এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে হুজুর। হুজুর আমি বিবাহিত।  আমি আল্লাহ সম্পর্কে কেন এইরকম বলব। এইরকম মনে হচ্ছে আমার। আমি তো ইচ্ছায় এইরকম বলব না।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক বিষয়। 
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
 
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
জানা মতে এখানে কোনো মাযহাব অনুপাতেই তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

তবে এর থেকে পরিত্রানের জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন। 
তাই আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন,বা কোনো শায়েখের কাছে গিয়ে তার দেয়া পরামর্শ মতে চলতে পারেন।

বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি পানাহ চাইবেন। 
এগুলোকে পাত্তা দিবেননা।
মাথাতেই আসতে দিবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...