আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
১. ছোটবেলায় কিছু ইতিহাস বিষয়ক সিনেমাতে দেখেছিলাম, ২ দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ সংঘটিত হলে, এক দেশের কিছু মানুষ গুপ্তচর সেজে, অন্য দেশে যেয়ে তাদের সাথে মিশে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে খুবই কাছের ও ঘনিষ্ঠ মানুষে পরিণত হয়। এই কাজ করতে তাদের নিজ দেশের কিছু তথ্য পাচার করা লাগে। কিন্তু পরবর্তীতে এত বিশ্বস্ত হবার পর, হয় হত্যা করে নিজ দেশের শত্রুদের অথবা তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজ দেশে পাচার করতে থাকে। এগুলো তো বাস্তবেও হয়েছে। নিজ দেশের পক্ষে কাজ করে এইভাবে গাদ্দারী করা কি জায়েজ হবে? অনেক জায়গায় দেখেছি, শত্রু দেশে মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত দেই, তারপর শত্রুদের খুন করে দেশের বিজয় লাভের জন্য, কিন্তু শত্রুরা হয়তো অত্যাচারী তাও স্বামি শ্বশুর বাড়ি বলে কথা। আবার তারা যখন সত্যি টা জানবে তখন যে স্পাই সেজে আছে তাকে ছাড়বে না হত্যা করবেই। ইসলামে কি এমন ভাবে স্পাই সেজে থাকার নজির আছে?
২. সুফিবাদ কী? এটা কি ইসলামের কোনো অংশ? সুফিবাদ ইসলামসম্মত কোনো বিষয় কিনা জানতে চাইছি।
৩. একটা ফেসবুক পোস্ট দেখেছিলাম, সিঙ্ক বা বেসিনের নলে নাকি জ্বীন বাস করে। তাই বেসিন বা সিংকে গরম পানি ফেলা যাবে না, গরম পানির কারণে কোনো জ্বীন মারা গেলে তার বাবা এসে প্রতিশোধ নেবে। এই বিষয় টা কত টুকু সত্য। আর জ্বীন কি আসলেই বাস করে বেসিনে?
জাঝাকল্লাহুল খাইর।
closed

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
কোনো দেশ/এলাকার সাথে মুসলিমদের জিহাদ হলে বা শত্রুরা ঘেরাও করলে/তারা আক্রমণ করলে,ইত্যাদি  বিশেষ প্রেক্ষাপটে গুপ্তচর পাঠানো জায়েজ।

ইসলামে এর নজির রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: بَعَثَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بُسْبَسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ صحيح

আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সুফিয়ানের কাফেলার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘বুসাইসা’ নামক এক ব্যক্তিকে গুপ্তচর হিসেবে পাঠালেন।
(আবু দাউদ ২৬১৮)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ فَنَفَرُوا لَهُمْ هُذَيْلٌ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ رَامٍ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِمْ عَاصِمٌ لَجَئُوا إِلَى قَرْدَدٍ، فَقَالُوا لَهُمْ: انْزِلُوا فَأَعْطُوا بِأَيْدِيكُمْ وَلَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ أَنْ لَا نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَدًا، فَقَالَ عَاصِمٌ: أَمَّا أَنَا فَلَا أَنْزِلُ فِي ذِمَّةِ كَافِرٍ، فَرَمَوْهُمْ بِالنَّبْلِ فَقَتَلُوا عَاصِمًا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ، وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ عَلَى الْعَهْدِ وَالْمِيثَاقِ: مِنْهُمْ خُبَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ، وَرَجُلٌ آخَرُ، فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ أَطْلَقُوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ فَرَبَطُوهُمْ بِهَا، فَقَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ: هَذَا أَوَّلُ الْغَدْرِ، وَاللَّهِ لَا أَصْحَبُكُمْ إِنَّ لِي بِهَؤُلَاءِ لَأُسْوَةً، فَجَرُّوهُ فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ فَقَتَلُوهُ، فَلَبِثَ خُبَيْبٌ أَسِيرًا حَتَّى أَجْمَعُوا قَتْلَهُ، فَاسْتَعَارَ مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا، فَلَمَّا خَرَجُوا بِهِ لِيَقْتُلُوهُ قَالَ لَهُمْ: خُبَيْبٌ دَعُونِي أَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ تَحْسَبُوا مَا بِي جَزَعًا لَزِدْتُ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসিম ইবনু সাবিতের নেতৃত্বে দশজনকে গুপ্তচর হিসেবে পাঠালেন। হুযাইল গোত্রের প্রায় একশো তীরন্দাজ তাদের মোকাবিলা করতে বের হলো। ‘আসিম (রাঃ) তাদের আগমন টের পেয়ে সাথীদের নিয়ে একটি টিলায় আত্মগোপন কররেন। শত্রুরা তাদেরকে বললো, তোমরা নেমে এসে আত্মসমর্পণ করো। ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি তোমাদের কাউকে হত্যা করবো না। ‘আসিম (রাঃ) বললেন, আমি কাফিরদের দেয়া নিরাপত্তা ওয়াদায় আমি টিলা থেকে নামবো না। তারা তীর ছুঁড়ে ‘আসিম (রাঃ)-সহ সাতজনকে শহীদ করলো।

বাকী তিনজন কাফিরদের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে টিলা থেকে নেমে আসেন। এ তিনজন হলেন খুবাইব (রাঃ), যায়িদ ইবনু দাসিনাহ (রাঃ) এবং আরেকজন (‘আব্দুল্লাহ ইবনু তারিক)। কাফিররা তাদেরকে কাবূ করে ধনুকের রশি খুলে তা দিয়ে তাদেরকে শক্ত করে বাঁধলো। এ দেখে তৃতীয় জন বললেন, এটা তো বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো না। আমি আমার (নিহত) সাথীদের সাথে মিলিত হওয়াই পছন্দ করি। কাফিররা তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিতে চাইলে তিনি যেতে অস্বীকার করায় তারা তাকেও শহীদ করলো।

খুবাইব (রাঃ) বন্দী অবস্থায় থাকলেন। কাফিররা তাকে হত্যার জন্য একত্র হলে খুবাইব (রাঃ) নাভীর নীচের চুল পরিষ্কার করার জন্য একটা ক্ষুর চেয়ে নিলেন। কাফিররা যখন তাকে হত্যা করার জন্য বের হলো, খুবাইব (রাঃ) তাদেরকে বললেন, আমাকে দু’ রাক‘আত সালাত আদায়ের সুযোগ দাও। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি যদি তোমাদের এরূপ ধারণা করার আশংকা না করতাম যে, আমি ভয় পেয়েছি, তাহলে আমি সালাত আরো দীর্ঘায়িত করতাম।
(আবু দাউদ ২৬৬০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো দেশের সাথে চুক্তি থাকলে বা যুদ্ধ না হলে,বা তারা আক্রমণ না করলে,,,, শরয়ী ওযর ছাড়া সেখানে গুপ্তচর পাঠানো জায়েজ নেই।

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এটি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন কথা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (42 points)
মুসলিম রা কি গুপ্তচবৃত্তির নামে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবে? যদি সেই যুদ্ধ পুরোপুরি শরীয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র না হয়ে আমাদের দেশের মতো অসাম্প্রদায়িক দেশের বিজয়ের জন্য হয় তাহলে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...