আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। হাদীসে ঘুমানোর আগে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করার কথা বলা হয়েছে তো এখন কেউ যদি এশার নামাযের পর কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে যেমন সূরা মূলক এবং ঘুমানোর পূর্বে বিছানায় গিয়ে কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে যেমন আয়াতুল কুরসী ও তিন কুল আর সব মিলিয়ে যদি ১০০ আয়াত হয় তাহলে হাদীসে বর্ণিত সাওয়াব পাওয়া যাবে?

আর সব মিলিয়ে তিলাওয়াত যদি ১০০ আয়াতের বেশি হয়ে যায় তাহলে কি হাদীসে বর্ণিত ১০০ আয়াত তিলাওয়াতের সাওয়াব পাওয়া যাবে না?

জাযাকুমুল্লাহু খায়ের

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَةَ آيَةٍ لَمْ يُحَاجِّهِ الْقُرْآنُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَتَيْ آيَةٍ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ خَمْسَمِائَةً إِلَى الْأَلْفِ أَصْبَحَ وَلَهُ قِنْطَارٌ مِنَ الْأَجْرِ» . قَالُوا: وَمَا الْقِنْطَارُ؟ قَالَ: «اثْنَا عَشَرَ ألفا» . رَوَاهُ الدِّرَامِي

হাসান বাসরী (রহঃ) মুরসালরূপে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে (কুরআনের) একশ’টি আয়াত পড়বে, ওই রাতে কুরআন তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন করবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে দু’শত আয়াত পড়বে, তার জন্য এক রাতের ‘ইবাদাতের সাওয়াব লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে পাঁচশ’ হতে এক হাজার আয়াত পর্যন্ত পড়বে ভোরে উঠে সে এক ‘কিনত্বার’ সাওয়াব পাবে। তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! এক ‘কিনত্বার’ কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জবাব দিলেন, বারো হাজার দীনার সমান ওজন।
(দারিমি ৩৫০২)

অন্য এক হাদীসে এসেছেঃ- 
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করবে, তাকে (আল্লাহর) আনুগত্যশীল বান্দাদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।”(সিলসিলা সহিহাহ: ৬৪৩; আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৬৯৫৮; হাদিসটি সহিহ]

আবুল আহওয়াস (রাহ.) হতে বর্ণিত, প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ৫০ টি আয়াত পাঠ করবে, তাকে উদাসীনদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে না। আর, যে ব্যক্তি ১০০ আয়াত পাঠ করবে, তাকে আল্লাহর অনুগতদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।’ [দারিমি, আস-সুনান: ৩৪৮৫; তাবারানি, মু‘জামুল কাবির: ১০১৩৫]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো ব্যাক্তি যদি ইশার নামাযের পর কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে যেমন সূরা মূলক এবং ঘুমানোর পূর্বে বিছানায় গিয়ে কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে যেমন আয়াতুল কুরসী ও তিন কুল তিলাওয়াত করে।

সব মিলিয়ে যদি ১০০ আয়াত হয়, তাহলে হাদীসে বর্ণিত সাওয়াব পাওয়া যাবে।

সব মিলিয়ে তিলাওয়াত যদি ১০০ আয়াতের বেশি হয়ে যায় তাহলেও হাদীসে বর্ণিত ১০০ আয়াত তিলাওয়াতের সাওয়াব পাওয়া যাবে।
এটি তো আরো প্রশংসনীয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...