আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
এইটা একটা বোনের প্রশ্ন :

২__আমার বাবা আমাদের কোন দায়িত্ব বহন করেন না । আমাদের সকল ভরন পোষন আমার মা ই দেখেন । তিনি একটি চাকরি করতেন সেখান থেকে ব্যাংকে টাকা জমিয়েছেন । এখন আর চাকরি টি করেন নাহ । ব্যাংকের সেই জমানো টাকা থেকে যা মুনাফা আসে সেই টাকা তিনি আমাদের জন্য খরচ করেন । এটা আমি এতদিন জানতাম না এখন জানতে পারলাম । শাইখ এখন এই হারাম থেকে আমি কিভাবে বাঁচবো
আমি তাকে বুঝিয়েছি অনেক বার কিন্তু সে বুঝতে চায় না ।মা ছাড়া আমাদের আয় রোজগারের আর কেউ নেই ।
আমার আয় রোজগারের কোন পথ নেই মহিলাদের শরয়ী মোতাবেক যেভাবে চাকরির অনুমতি আছে তার জন্য শিক্ষাগত বাকি আছে । অন্যভাবে আয়রোজগার করা সেটাও সময়বহুল
এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি?

২__ এমতাবস্থায় আমার ইবাদত দোয়া কি কবুল হবে । আমি যদি নিজের জন্য হালাল রিজিকের দোয়া করি তা কি কবুল হবে ?

৩__ শায়েখ আরেকটি প্রশ্ন । আমি কয়েক মাস হয়ে যায় ইবাদাতে কোন স্বাদ পাই না । আগে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তাম এখন ফরজ নামাযেও  কেমন যেন অমনোযোগীতা ।  কোন গুনাহ হয়ে গেলে কত কাদতাম আর এখন কোন আফসোস ই লাগে না । আচরণ ও রুক্ষ হয়ে গেছে । অনেক কোরআন তেলাওয়াত করতে চাই কিন্তু কেন জানি পারি না আগের মতো এখন আর দোয়াও করতে পারি না ।আমার মনে হয় হারাম গ্ৰহনের ফলেই দ্বীন থেকে দূরে সরে যাচ্ছি । এসব নিয়ে আমি  ডিপ্রেশন এ ভুগি
এমতাবস্থায় আমার কি করনীয় । আমি কিভাবে হেদায়াত ফিরে পাবো ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

বাবার ইনকাম হারাম হলে,

সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।

তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।


মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।

কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।

নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।

ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 

বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১)সকল বয়সের মেয়ে সন্তান তার পিতার ইনকাম থেকে জীবনাতিপাত করবে। যেহেতু আপনার পিতা অক্ষম বা উপার্জন করছেন না, তাই আপনি আপনার মায়ের কাছ থেকে জরুরত পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবেন।জরুরতের বেশী গ্রহণ করতে পারবেন না।

(২)যদি আপনি জরুরত পর্যন্ত গ্রহণ করেন, তাহলে আপনার ইবাদত কবুল হতে কোনো বাধা নেই।কেননা মেয়ে হিসেবে আপনি মজবুর,অপারগ।

(৩)তাহাজ্জুদের নামায পড়ুন।আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করতে থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...