আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
333 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (91 points)
edited by
১/ আমি আজকে আমার বউ এর সাথে বিস্তারিত কথা বললাম যে সে কখনো কেনায়া বাক্য বলেছে কি না, তখন সে বললো যে আগে আগে রাগ উঠলে অনেক কথাই তো বলেছে তখন মনে রাগ উঠতো আমাকে নিয়ে মন বলতো ছেড়ে দিতে।কিন্তু কি কথা বলেছ  তা মনে নাই।  তখন আমি তাকে বললাম যে দেখো,কেনায়া হলো সরাসরি তালা* না বলে অন্য বাক্য বলে ছেড়ে দেওয়া, তখন সে বললো এই রকম করেছে বলে শিপর বলতে পারছে না। তখন তাকে বললাম যে, " তুমি তো জানতেই না যে তুমি ও তালাকের মালিক হয়ে গেছো" মনে হয় না এই চিন্তায় কিছু বলেছো। তখন বললো "আমার মনইছে তুমি যদি ছাইড়া দেও তাইলে দিলাইলায়"। মানে মূল কথা রাগ উঠলে অনেক কথাই সে বলেছে এবং তখন সে মনে মনে আমাকে সহ্য করতে না পেরে ছেড়ে দিলেই ভালো হতো ইরম মানসিকতা ছিলো,এর চেয়ে বেশি কি ছিলো,কি কি বলেছে তা নাই।আর আমাকে ছেড়ে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই কি বলেছে কি না। তাও শিওর না। বলেছে তার কিছু মনে থাকে না(আসলেই অনে কিছু ভুলে যায়),এখন আগের সব ঘঠনা যা জানতেছি না তার জন্য কি রায়?

২.এরমাঝে অনেক কথা ম্যাসেজে ও হয়েছে,তা এখন খুজে খুজে এতো এতো মাসের পুরাতন ম্যাসেজ দেখে হয়তো কি কি বলেছিলো রাগে তা বলা যাবে,তবে তা দেখাকে শিওর বলতেও পারবে না,সত্যি সত্যিই ছাড়ার নিয়ত ছিলো কি না। এইগুলা খোঁজা খোজি  করা কি উচিত হবে? সে শুধু, "মানে তখন একদম সহ্য করতে পারিনা তোমারে ছাইড়া দিতে ইচ্ছা করে" এই টুক ই বলে আর বলতে।পারবে। ঠিক ওই কথা বলার সময় কি অবস্থা ছিলো মনের বলতে।পারবে বলে মনে হ না।

৩/ মেয়েরা কেনায়া দিলে অন্তরে কি নিয়ত রাখতে হবে?নিজের উপর তালাকের না কি স্বামীর উপর।

৪. স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছে এই নিয়তে কেনায়া বললে কি হবে?

৫.বুঝানোর জন্য যে তালাকের/তালাক এসব বলেছি তারজন্য সমস্যা হবে না তো?

৬.ঝাড় ফুক কাজ করে না এমন টা মনে মনে বিশ্বাস করার কিছু সময় পর মনে হলো এটা হাদীসে আছে, তাহলে কি কুফর হবে? মুখে না বলে বা কাজ না করে এরম মনে মনে বিভিন্ন ভাবনা আসলে কি কুফর হয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু অতীতের কোনো কথার উপর পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস নাই, তাই কোনো তালাক হবে না। অতীতের কোনো কথা নিয়ে এখন চিন্তা গবেষণার কোনো প্রয়োজন নাই।

(২)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৩)
নিজের উপর তালাক গ্রহণের নিয়ত রাখতে হবে।অর্থাৎ তালাককে নিজের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করতে হবে।
رَجُلٌ جَعَلَ أَمْرَ امْرَأَتِهِ بِيَدِهَا فَقَالَتْ لِلزَّوْجِ أَنْتِ عَلَيَّ حَرَامٌ أَوْ أَنْتِ مِنِّي بَائِنٌ أَوْ أَنَا عَلَيْك حَرَامٌ أَوْ أَنَا مِنْك بَائِنٌ فَهَذَا كُلُّهُ طَلَاقٌ وَلَوْ قَالَتْ أَنْتَ حَرَامٌ وَلَمْ تَقُلْ عَلَيَّ أَوْ قَالَتْ أَنْتَ بَائِنٌ وَلَمْ تَقُلْ مِنِّي فَهُوَ بَاطِلٌ وَلَوْ قَالَتْ أَنَا حَرَامٌ وَلَمْ تَقُلْ عَلَيْك أَوْ قَالَتْ أَنَا بَائِنٌ وَلَمْ تَقُلْ مِنْك فَهَذَا كُلُّهُ طَلَاقٌ كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৯১)

(৪)
স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার নিয়ত হলে তালাক হবে না।

(৫)
বুঝানোর জন্য যে, তালাক বলা হয়েছে,এজন্য তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংষোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...