আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আমার শশুরবাড়ি জয়েন্ট ফ্যামিলি। আমাদের রুমটা অত্যন্ত ছোট৷ আমার তিন বছরের একটা মেয়ে আছে৷ বিছানাটা এত ছোট দেখে আমার মেয়ের আর ওর বাবার ঘুমানোর সুবিধার্থে আমি মাটিতে এক জায়নামাজ পরিমান জায়গায় জায়নামাজ বিছিয়ে ঘুমাই।এখন বিছানায় শারিরীক সম্পর্ক করতে চাইলে মেয়েটা পাশে ঘুমায়, একেবারে একটা বালিশ রাখারও জায়গা নাই যে ব্যারিকেড দিব। আমার খুবই অস্বস্তি হয় এভাবে মেয়ের সামনে অন্তরংগ হতে।বাচ্চা মানুষ যেকোন সময় ঘুম ভেংগে যেতে পারে।জেগে উঠে আমাদের ওই অবস্থায় দেখলে তা আমার জন্য ভীষন লজ্জার কারন হবে৷ এমতাবস্থায় আমি যদি যথেষ্ট জায়গা বা নতুন বাসায় বড় রুম পাওয়ার আগ পর্যন্ত শারিরীক সম্পর্ক করতে না চাই তাহলে কি গুনাহ হবে? (এমন না যে আমি শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছিনা। করব যখন সুবিধা হবে, বর্তমান অসুবিধাটুকু দূর হবে) ৷ উল্লেখ্য যে আমি সেই হাদিসগুলো জানি যেখানে স্বামীর শারিরীক হকের ব্যপারে বলা হয়েছে

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/24385/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

হাদীসটি তিরমিযী শরীফে এসেছে -

عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামী যদি মনোবাসনা পূরণের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে যদি চুলার কাছেও থাকে তবুও যেন অবশ্যই সাড়া দেয়। ’ ইমাম আবূ ইসা(রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব। মিশকাত ৩২৫৭সহিহাহ ১২০২তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

 

https://ifatwa.info/13468/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، - يَعْنِي الْيَشْكُرِيَّ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ سَوَّارٍ أَبِي حَمْزَةَ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو حَمْزَةَ الْمُزَنِيُّ الصَّيْرَفِيُّ - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ " . - حسن صحيح

আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে সলাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (সলাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।

আহমাদ (২/১৮০, হাঃ ৬৬৮৯ এবং ২/১৮৭), হাঃ ৬৭৫৬), হাকিম (১/১৯৭) বায়হাক্বী (৩/৮৪) ‘আমর ইবনু শু‘আইব সূত্রে।

 

এই হাদীস থেকে বুঝা যায় যে সন্তান বুঝবান না হলে তাকে ঘুমের বিছানা আলাদা করে দেওয়া জরুরি নয়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সন্তানরা ঘুমিয়ে থাকলে সেই ঘরে, বিছানায়  স্ত্রী সহবাস করা যাবে।

তবে কোনো আওয়াজ করা যাবেনা, শরীরে চাদর বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে সহবাস করতে হবে, যাতে সেটি পর্দার কাজ দেয়।

সন্তানের শরীরে যেনো নিজের বা স্ত্রীর উত্তেজনা বশত হাত ছড়িয়ে না আসে, সেই দিকে পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে। 

সতর্কতামূলক সেই সময়ে অন্য ফাকাঁ রুমে যাওয়াই ভালো।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

আপনারা স্বামী স্ত্রী মিলে সিদ্ধান্ত নিবেন যে, কখন শারিরিক সম্পর্ক করলে ভালো হয়। সেভাবে করবেন। আবার দুজন মিলে যদি এই সিদ্ধান্ত নেন যে, কয়েকদিন না করে কিছুদিন পরে করবেন তাও কোনো সমস্যা নেই। তবে এমন যেনো না হয় যে, আপনার স্বামী শারিরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে আবার পরিবেশও আছে। আর আপনি রাজী হচ্ছেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...