ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2093 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কুরআনে কারীমে কোথাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে,পৃথিবী সমতল নাকি গোলাকার।তবে আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে,পৃথিবী গোলাকার।আধুনিক বিজ্ঞানের এ থিউরীকে কোরআন অস্বীকার করছে না।বরং চিন্তা করলে এ মতের পক্ষ্যে সমর্থন পাওয়া যায়,...............
যে সমস্ত মুফাসসিরীনে কেরাম পৃথীবিকে সমতল বলেছেন,এটা কুরআন হাদীসের কথা না।বরং এটা ছিলো তাদের নিজস্ব ইজতেহাদ।আর ইজতেহাদ অর্থ হলো,যা বাস্তব সম্মত হওয়া বা না হওয়া উভয়েরই সম্ভাবনাই রাখে। তারা তৎকালিন সময়ের সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী সেই সব উক্তি করেছিলেন।আপনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন,তথায় খুজি উক্ত মনিষিদের কোনো বক্তব্য পাইনি।
এখন মানুষ বলছে,পৃথিবী গোলাকার।এটা অকাট্য নয়।কেননা কোরআন হাদীস সরাসরি আমাদেরকে বলছে না।আবার আমরা নিজ চক্ষু দ্বারা সেটাকে দেখছিও না।দেখলে অবশ্যই সেটাকে মেনে নিতাম।সুতরাং এ সম্ভাবনাও থেকে যায়, যে পৃথিবী সমতল।কেননা পৃথিবী ঘুরে না সূর্য ঘুরে এ নিয়ে আমরা বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত ও পাল্টা সিদ্ধান্ত দেখেছি। (শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের প্রথম জবাব হল,
পূর্ব দিককে এখন আর কিবলা হিসেবে ধরে নেয়া সম্ভব না।কেননা আদিকাল থেকে পশ্চিম দিককে কিবলা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। তাছাড়া পূর্ব দিকের তুলনায় পশ্চিম দিকে কাবা শরীফ নিকটবর্তী।
দ্বিতীয় কথা হল,
পূর্ব দিককে কিবলা হিসেবে নির্ধারণ করার প্রশ্নটি মূলত পৃথিবী গোলাকারের উপর ভিত্তি করেই উত্তাপিত হয়েছে। অথচ এই বিষয়টা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে।