আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি অনেক ভেঙে পড়ি। কারণ তখন আআমারমি hsc পরীক্ষাথী। পরিবারে দেখার মত বড় ভাই ছিল কিন্তু অনেক কষ্টের মধ্য দিন যেত। ইসলাম সম্পর্কে জানতাম কমবেশি ভয় ও ছিল মনে। আড়ায় বছর পর আমি প্রাইমারি স্কুল এ চাকরি পায়। প্রথমে চাকরি করতে আমি রাজি ছিলাম না ফ্যামিলির চাপে শেষে করতে হয়। মনে হতো বিয়ের পর যদি মনের মতো husband পায় চাকরিটা ছেড়ে দিব। বরাবরই একজন ইসলামিক mind এর ছেলে পছন্দ ছিল। বড় ভাইয়া তেমন দেখাশোনা করে না। অসুস্থ মা আর আমি।  এক ছেলে একদিন আমাকে propose করলো । বললো নাকি আমার চলাফেরা ভদ্রতা দেখে নাকি তার ভালো লেগেছে। সে ও নাকি এমন চায়। নিজে ও ইসলামের পথে চলতে ভালবাসে। বিয়ে করে নাকি আমাকে র চাকরি করাবে না। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। আমি রাজি হলাম বিয়ের 3 বছর 7 মাস। এখন চাকরি ছাড়ার কথা বললে সে রাগ দেখায়। আমি বিভিন্নভাবে বলি এখানে চাকরি করলে আমি টিকভাবে ইবাদত করতে পারি না।  আমার ভালো লাগে না মেয়েদের জব করা but সে বুজ্তে চায় না। সে আমার সাথে ও থাকে না। চাকরির কারনে দুজন কে দুই জায়গায় থাকতে হয়। এক দেড় মাস পরে সে বাসায় আসে। বাসায় আসার কথা বললে রাগ করে।ফ্যামিলিতে বললেও কেউ শুনতে চায় না। বরং বিভিন্ন দুনিয়াবি কারণ দেখায়। কিন্তু আমি তো বুঝি এখানে ইমান রাখা কত কষ্ট। আমি মানসিক  প্রেসার এ আছি। স্কুলে ঢোল বাদ্য সবই করা লাগে আমাদের। কিভাবে বাচবো। কিছু উপদেশ দিন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঐ ছেলে আপনাকে মিথ্যা বলে ধোকা দিয়েছিলো।
কোনো পুরুষ ধোকা দিয়ে বিয়ে করলে, এক্ষেত্রে শরয়ী বিধান হলো
ﻟَﻮْ اﻧْﺘَﺴَﺐَ اﻟﺰَّﻭْﺝُ ﻟَﻬَﺎ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺴَﺒِﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻇَﻬَﺮَ ﺩُﻭﻧَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜُﻒْءٍ ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِﺛَﺎﺑِﺖٌ ﻟِﻠْﻜُﻞِّ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻛُﻔُﺆًا ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﺩُﻭﻥَ اﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻓَﻮْﻕَ ﻣَﺎ ﺃَﺧْﺒَﺮَ ﻓَﻼَ ﻓَﺴْﺦَ ﻷَِﺣَﺪٍ.............الي ان قال ............ ﻟَﻜِﻦْ ﻇَﻬَﺮَ ﻟِﻲ اﻵْﻥَ ﺃَﻥَّ ﺛُﺒُﻮﺕَ ﺣَﻖِّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﻐْﺮِﻳﺮِ ﻻَ ﻟِﻌَﺪَﻡِ اﻟْﻜَﻔَﺎءَﺓِ ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﻇَﻬَﺮَ ﻛُﻔُﺆًا ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺣَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻷَِﻧَّﻪُ ﻏَﺮَّﻫَﺎ، ﻭَﻻَ ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟِﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ ﻷَِﻥَّ اﻟﺘَّﻐْﺮِﻳﺮَ ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﺼُﻞْ ﻟَﻬُﻢْ،
যদি স্বামী নিজেকে নিজস্ব বাস্তব বংশ ব্যতীত ভিন্ন বংশের লোক বলে দাবী করে,এবং পরবর্তীতে এর চেয়ে নিম্নমানের বংশ প্রমাণিত হয়,তাহলে সে উক্ত মেয়ের কু'ফু হতে পারবে না,এবং মহিলা ও মহিলার অভিবাবক সকলের জন্যই বিবাহকে কাযীর মাধ্যমে ভঙ্গ করা অধিকার থাকবে।কিন্তু যদি পরবর্তীতে এমন বংশ প্রমাণিত হয়,যা উক্ত মেয়ের কু'ফু অবশ্য হবে(কিন্তু সে প্রথমে বাড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলো)তাহলে ও মহিলার বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে।যদিও ওলীর থাকবে না।আর যদি তার বর্ণনাকৃত বংশের চেয়েও পরবর্তীতে উচ্ছ বংশ প্রমাণিত হয় তাহলে কারো বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে না।

(ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন)
বর্তমানে আমার কাছে এটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে যে,মহিলার জন্য ফসখের অধিকার স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্যই।কু'ফু র সমতা না থাকাতে নয়।
কেননা ছেলে মিথ্যা বলার পরও যদি তার এমন বংশ প্রমাণিত হয় যা ঐ মহিলার সমকক্ষ,তাহলেও মহিলার ফসখের অধিকার অর্জন হয়।এজন্য যে, পুরুষ মিথ্যা বলে মহিলাকে ধোকা দিতে চেয়েছিলো।এবং এজন্যই অভিবাবকদের জন্য ফসখের অধিকার অর্জন হবে না।কারণ সে অভিবাবকদের সাথে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি।(রদ্দুল মুহতার-৩/৫০১)

মুহতারামাহ!
যেহেতু ঐ ছেলে আপনাকে ধোকা দিয়েছে তাই আপনার জন্য ফসখের অধিকার অর্জিত হবে তথা আপনি কাযী বা কোর্ট অথবা সামাজিকভাবে নিজে বিয়েকে ভেঙ্গে দিতে পারবেন।


মুহতারামাহ!
আপনার স্বামীর জন্য এভাবে আপনাকে ধোকা দেয়া ও বর্তমানে আপনাকে চাকুরী করতে বাধ্য করা এবং আপনাকে সময় না দেয়া কোনোটাই তার জন্য জায়েয হবে না।এর জন্য তাকে অবশ্যই শেষ বিচারের দিন জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনি ধর্য্য সহকারে ঐ পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন।এবং স্বামীকে বুঝাতে থাকুন।তাকে পরকাল সম্পর্কে অবহিত করুন। চাকুরী করতে তার আদেশকে মান্য করা আপনার উপর ওয়াজিব নয়। ধীরেসুস্থে ঐ চাকুরী থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সকল প্রকার চেষ্টা করা আপনার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভবিষ্যতে নিষ্কৃতি লাভের উদ্দেশ্যে আপাতত সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে ঐ চাকুরী চালিয়ে যেতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...