ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
فى البحر الرائق- ومن احكامه- ومن أحكامه أنه لو سلم مع الإمام ساهيا أو قبله لا يلزمه سجود السهو لأنه مقتد وإن سلم بعده لزمه وإن سلم مع الإمام على ظن أن عليه السلام مع الإمام فهو سلام عمد فتفسد (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب الحدث فى الصلاة-1/662
মাসবুক ব্যক্তি যদি ভুলে ইমামের সাথে বা আগে সালাম ফিরিয়ে ফেলে তাহলে তার উপর নামাযের শেষাংসে সাহু সেজদা দেয়া আবশ্যক নয়। আর যদি ইমাম সালাম ফিরানোর পর সালাম ফিরায়, তাহলে তার উপর নামাযের শেষাংসে সাহু সেজদা দেয়া ওয়াজিব। আর যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরায় এটা ভেবে যে, ইমামের সাথে তার সালাম ফিরানো উচিত, তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এ নামায পুনরায় পড়তে হবে। (আল বাহরুর রায়েক-১/৬৬২ ,ফাতওয়ায়ে শামী-২/৩৫০ ,ফাতওয়া আলমগীরী-১/৯১)
চার রাকাতি নামাযে তিন রাকাত পড়ার পর ভুলে সালাম ফিরিয়ে নিলে, চায় এক দিকে হোক বা দুই দিকে, তারপর স্বরণ হলে, অথবা পাশের কাউকে দেখে নিজের মনের মধ্যে স্বরণ হয়ে গেলে, অবশিষ্ট নামাযকে পূর্ণ করতে হবে এবং সাহু সিজদা দিতে হবে। যতক্ষণ না কিবলার দিক থেকে মুখ ফিরছে বা কারো সাথে কথা বলছে। যখন কিবলার দিক থেকে মুখ ফিরে যাবে বা কারো সাথে কথা বলা হয়ে যাবে, তখন উক্ত নামাযকে নতুনকরে পড়তে হবে।
(وَيَسْجُدُ لِلسَّهْوِ وَلَوْ مَعَ سَلَامِهِ) نَاوِيًا (لِلْقَطْعِ) لِأَنَّ نِيَّةَ تَغْيِيرِ الْمَشْرُوعِ لَغْوٌ ( مَا لَمْ يَتَحَوَّلْ عَنْ الْقِبْلَةِ أَوْ يَتَكَلَّمْ)
(আদ্দুরুল মুখতার-২/৯১)
(কিতাবুল ফাতাওয়া ২/৪৩৯)