ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3608 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-০২)
ওয়াইফাই এর মাধ্যমে যদি কেউ নেকির কাজ করে,তাহলে ওয়াইফাই এর মালিক এজন্য সওয়াব পাবে।আর যদি কেউ গোনাহের কাজ করে,তাহলে ওয়াইফাই এর মালিক এজন্য গোনাহের অংশীদারও হবে।সুতরাং কারো ব্যাপারে যদি অনুমেয় হয় যে,সে গোনাহের কাজে লিপ্ত হতে পারে বা গোনাহের কাজ করবে,তাহলে এমন ব্যক্তির কে ওয়াইফাই দেয়া যাবে না।দিলে অবশ্যই গোনাহের অংশীদার হতে হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এ ছিল সেই ওয়াইফাইয়ের আলোচনা, যেখানে কেউ একজন ওয়াইফাই মালিক।তার জন্য এমন কাউকে ওয়াইফাই দেয়া জায়েয হবে না, যার ব্যাপারে সন্দেহ হয় যে, সে মন্দকাজে তা ব্যবহার করতে পারে। তবে যদি ওয়াইফাই কয়েকজন মিলে নেন, যারা সবাই সমান ভাবে খরচ বহন করে, তাহলে এমতাবস্থায় কেউ গোনাহের কাজ করলে, এর দায়ভাড় সবার উপর বর্তাবে না।শুধুমাত্র সেই ব্যক্তির উপরই বর্তাবে যে গোনাহের কাজে লিপ্ত হবে। তবে যদি আপনার শরীক না হওয়াতে ওয়াইফাই লাইন না আনার সম্ভাবনা বেশী থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় আপনার জন্য উক্ত শরীকি কাজে শরীক না হওয়াই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।