আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু য়ালাইকুম....আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমি নাটক সিনেমা দেখি না এবং গান ও শুনি না কিন্তু ঘরের কয়েকজন এসব দেখে ও শুনে এখন পরিবারে যারা মোবাইল ব্যবহার করে তাদের প্রতি মাসের ইন্টারনেট খরচ বেশি হওয়াতে আমি পরামশ দেয় যে সবাই মিলে ওয়াইফাই সংযোগ নিয়ে নিতে খরচ কমবে এখন নিচ্ছে ওয়াইফাই সংযোগ

প্রশ্ন হচ্ছে.....আমার পরামশ অনুযায়ি ওয়াইফাই সংযোগ নেওয়াতে ঘরের যারা নাটক সিনেমা দেখে ও গান শুনে তার জন্য কি আমার গুনাহ হবে হলে এখন আমার কি করতে হবে এই গুনাহ থেকে বাচতে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3608 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-০২)

ওয়াইফাই এর মাধ্যমে যদি কেউ নেকির কাজ করে,তাহলে ওয়াইফাই এর মালিক এজন্য সওয়াব পাবে।আর যদি কেউ গোনাহের কাজ করে,তাহলে ওয়াইফাই এর মালিক এজন্য গোনাহের অংশীদারও হবে।সুতরাং কারো ব্যাপারে যদি অনুমেয় হয় যে,সে গোনাহের কাজে লিপ্ত হতে পারে বা গোনাহের কাজ করবে,তাহলে এমন ব্যক্তির কে ওয়াইফাই দেয়া যাবে না।দিলে অবশ্যই গোনাহের অংশীদার হতে হবে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এ ছিল সেই ওয়াইফাইয়ের আলোচনা, যেখানে কেউ একজন ওয়াইফাই মালিক।তার জন্য এমন কাউকে ওয়াইফাই দেয়া জায়েয হবে না, যার ব্যাপারে সন্দেহ হয় যে, সে মন্দকাজে তা ব্যবহার করতে পারে। তবে যদি ওয়াইফাই কয়েকজন মিলে নেন, যারা সবাই সমান ভাবে খরচ বহন করে, তাহলে এমতাবস্থায় কেউ গোনাহের কাজ করলে, এর দায়ভাড় সবার উপর বর্তাবে না।শুধুমাত্র সেই ব্যক্তির উপরই বর্তাবে যে গোনাহের কাজে লিপ্ত হবে। তবে যদি আপনার শরীক না হওয়াতে ওয়াইফাই লাইন না আনার সম্ভাবনা বেশী থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় আপনার জন্য উক্ত শরীকি কাজে শরীক না হওয়াই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...