আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
জনাব প্রায় ৩ মাস আগে, আমি নেশায় ঘোরে ছিলাম , তখন আমার স্ত্রী আমার কাছে এসে আমাকে বলে এই সব না করলে হয় না , আমি বলেছি ঠিক আছে আর করবো না, তখন আমার স্ত্রী বলে, না তুমি করতে থাকো আমাকে তালাক দিয়ে দেও, তখন আমি বলছি , আমি তালাক দিবো না , তুমি দিয়ে দেও আমায় তখন সে বলে না তুমি দেও, তখন আমি বলছি আমি দিলে তুমি খুশি। সে বলে হে আমি খুশি যাও তালাক দিলাম , তখন আমাকে বলে এভাবে না বল এক তালাক আমি বলছি হে বললাম এক তালাক, বল দুই তালাক আমি বলছি দুই তালাক, বল তিন তালাক তখন  আমি তিন তালাক বলছি, বেস একটুই। তারপর থেকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই সংসার চালিয়ে যাই। এখন প্রায় ৩ মাস হয়ে গিয়েছে, আমাদের তালাক  হয়েছে।  কিন্তু বাচ্চা পেটে আসার পর আমরা এই মাসয়ালা সম্পর্কে  বুঝতে পারি আমাদের তালাক হয়েছে । এখন বাচ্চা ২ মাসের গর্ভে।

১.এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি? আমার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে আমি আবার ফেরত আনতে চাচ্ছি।
২.এই বাচ্চাটা কি ইসলামিক শরিয়তে বৈধ ?
নাকি অবৈধ বাচ্চা হিসাবে  গণ্য করা হবে?
আর যদি অবৈধ হয় তখন কি করা উচিত ?

আমি এই বিষয়ে অনুতপ্ত। আল্লাহর কাছে এই মুসিবত থেকে পানাহ চাই। ইন শা আল্লাহ আমি আমার পরবর্তী জীবন ইসলাম পালন করে চলব ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/51089 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নেশা অবস্থায় তালাক দিলে সেই তালাক গ্রহণযোগ্য হবে।অর্থাৎ সেই তালাক পতিত হবে। বেহুশ অবস্থায় যদিও তালাক পতিত হয়না।কিন্তু এখানে নেশার শাস্তি স্বরূপ তালাক পতিত হবে।
لما في رد المحتار (أَوْ سَكْرَانَ) وَلَوْ بِنَبِيذٍ أَوْ حَشِيشٍ
وفي الدر المختار تحت قوله
(قَوْلُهُ بِنَبِيذٍ) أَيْ سَوَاءٌ كَانَ سُكْرُهُ مِنْ الْخَمْرِ أَوْ الْأَشْرِبَةِ الْأَرْبَعَةِ الْمُحَرَّمَةِ أَوْ غَيْرِهَا مِنْ الْأَشْرِبَةِ الْمُتَّخَذَةِ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْعَسَلِ عِنْدَ مُحَمَّدٍ. قَالَ فِي الْفَتْحِ: وَبِقَوْلِهِ يُفْتَى لِأَنَّ السُّكْرَ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ مُحَرَّمٌ. وَفِي الْبَحْرِ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ  الْمُخْتَارُ فِي زَمَانِنَا لُزُومُ  الْحَدِّ وَوُقُوعُ الطَّلَاقِ. اهـ. وَمَا فِي الْخَانِيَّةِ مِنْ تَصْحِيحِ عَدَمِ الْوُقُوعِ فَهُوَ مَبْنِيٌّ عَلَى قَوْلِهِمَا مِنْ أَنَّ النَّبِيذَ حَلَالٌ وَالْمُفْتَى بِهِ خِلَافُهُ.
(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু তিন তালাক হয়ে গেছে, তাই আপনারা আর একত্রিত হতে পারবেন না।হ্যা, আপনার স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ে হওয়ার পর ,ঘটনাক্রমে সেখানে তালাক হয়ে গেলে, তখন আপনি আবার নতুন করে বিয়ে করতে পারবেন। তবে ইচ্ছাকৃত স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে সাথে সাথে তালাক করিয়ে নিজে বিয়ে করা মাকরুহে তাহরীমি। উল্লেখ্য যে, বিয়ের অর্থ হল, দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হতে হবে।শুধুমাত্র বিয়ের আকদ যথেষ্ট নয়।

(২)
আপনাদের তালাকের তিন মাস গত হয়েছে। এখন আপনার স্ত্রীর ২ মাসের সন্তান সম্ভাবনা।তার মানে তালাকের একমাস পরে ঐ সন্তান আপনার স্ত্রীর গর্ভে এসেছে। তাই এ সন্তান অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে  হচ্ছে যে, শরীয়তে দৃষ্টিতে এ সন্তানের নসব তার মা থেকে প্রমাণিত হবে। বাবা থেকে এ সন্তানের নসব প্রমাণিত হবে না। সুতরাং এ সন্তান আপনাকে বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...