আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ।অামার এক নিকট অাত্নীয় সে যখনি নামাজ পড়ে প্রথমে অাল্লাহু অাকবার বলে দাড়িয়ে সূরা পড়ে নিয়ম মতন সিজদায় যায়,কিন্ত সিজদা শেষে সে অার দাড়ায় না ২য় রাকাআত থেকে বসেই পড়তে থাকে। অামি নিজে জানি না তাই বুঝতে পারছি না কি বলবো।এমন কি ঠিক উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»

আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে। (সহীহ বোখারী-১১১৭)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر

যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর  অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)

তারপর উল্লেখ করা হয়,

وإن عجز عن القيام والركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء ويجعل السجود أخفض من الركوع، كذا في فتاوى قاضي خان حتى لو سوى لم يصح، كذا في البحر الرائق.

যদি কেউ নামাযে কিয়াম,রুকু,সিজদা করতে অক্ষম থাকে,কিন্তু সে আবার বসে বসে পড়তে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে,;সে বসে বসে ইশারায় নামায পড়বে। এবং সেজদার সময় মাথাকে রুকু থেকে একটু বেশী নিচু করবে। (ফাতাওয়ায়ে কাযীখান)তবে যদি কেউ রুকু এবং সেজদার সময়ে মাথাকে সমান করে রাখে তাহলে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না। (বাহরুর রায়েক্ব)

অপারগতা সম্পর্কে বলা হয়,

وأصح الأقاويل في تفسير العجز أن يلحقه بالقيام ضرر وعليه الفتوى، كذا في معراج الدراية، وكذلك إذا خاف زيادة المرض أو إبطاء البرء بالقيام أو دوران الرأس، كذا في التبيين أو يجد وجعا لذلك فإن لحقه نوع مشقة لم يجز ترك ذلك القيام، كذا في الكافي.

অপারগতা অর্থ হল দাড়ানোর সময়ে কষ্ট অনুভূত হওয়া। এটাই অগ্রহণযোগ্য মত (মে-রাজুদ্দেরায়া) ঠিক এমনিভাবে যদি অসুস্থতা বৃদ্ধির ভয় হয়,বা সুস্থতাকে তরান্বিত করে, অথবা মাথা চক্কর শুরু করে দেয়, (তাবয়ীন) অথবা কোনো বিশেষ কষ্ট অনুভূত হয়, (তাহলে রুখসতের বিধান আসবে)তবে যদি সাধারণ কষ্ট অনুভূত হয়, তাহলে এর জন্য কিয়ামকে তরক করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়ায়ে  হিন্দিয়া-১/১৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!

দাড়িয়ে নামায পড়া সম্ভব না হলে যেভাবে সম্ভব হয় সেভাবেই নামাযকে আদায় করতে হবে। নামাযের প্রত্যেকটি ফরয কে আদায় করতে হবে। যদি অসুস্থতার ধরুণ কোনো ফরয রুকুন কে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব হয় সেভাবেই নামাযকে আদায় করতে হবে।

যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায পড়তে সক্ষম, তার জন্য বসে বসে ফরয বা ওয়াজিব নামায পড়া জায়েয হবে না। (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৪৮৫)

(১) যখন দাড়িয়ে নামায পড়া কারো জন্য অক্ষম হয়ে যাবে,তখনই সে বসে নামায পড়তে পারবে।

(২) শরীর দুর্বল লাগলে সুন্নত নামায বসে পড়া যাবে। ফরয ওয়াজিব পড়া যাবে না। শুধুমাত্র দাড়াতে অক্ষম হলেই ফরয এবং ওয়াজিব নামাযে বসে পড়া যাবে।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত এক রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর ২য় রাকাত বসে পড়লে নামাজ হবে না, যদি তা ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...