ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الْمَعْنَى قَالَ : "حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ انْضَحِيهِ" -
হিশাম (রহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীসের সমার্থক বর্ণনা আছে। তাতে রয়েছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন জিনিস দিয়ে তা দূর করে পানি দ্বারা ঘষে নিবে। তারপর তাতে পানি ছিটিয়ে ধুয়ে ফেলবে।
বুখারী (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ হায়িযের রক্ত ধোয়া, হাঃ ৩০৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ অনুঃ রক্তের পবিত্রতা এবং তা ধোয়ার নিয়ম,আবু দাউদ ৩৬২।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পানি দিয়ে ধোয়ার দরুন যদি সেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়,তাহলে যেকোনো নাপাকি দূরকারী বস্তু দিয়ে নাপাক দূর করতে হবে।
পেট্রোল,ক্যামিক্যাল,লিকুইড ইত্যাদি দিয়ে একবার ধুয়ে এগুলো টপকানো বন্ধ হয়ে গেলে আবারো এগুলো দিয়ে ধুতে হবে।
এভাবে তিনবার করতে হবে।
(১.১.)
প্রত্যেকবার কাপড়টি ধুয়ে নিংড়িয়ে তা দিয়ে মোবাইল মুছতে হবে।
আরো জানুনঃ-
(০২)
এতে সমস্যা হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ এতে ফরজ গোসল হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
মোবাইলে বিড়ালের পেশাবের কোনো চিন্হ,বা গন্ধ পেলে মোবাইলে নাপাক ধরবেন।
আর যদি তাতে পেশাবের কোনো চিন্হ,বা গন্ধ না পান,তাহলে মোবাইল পাক।
(০৫)
ইস্তেঞ্জা করার পর হাতে নাপাকি থাকলে বাথরুমেই কিছুটা মাটির দিকে নত হয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
বেসিনে আসার আগেই ভিতরে হাত পাক করে আসবেন।
(০৬)
এটিকে মযি ধরা হবে,তাই পুনরায় গোসল আদায় করতে হবেনা।
(০৭)
পানি/ সাবান দিয়ে হালকা ধোয়ার পর যদি কিছু দাগ থেকেও যায়, তাতেও কোন সমস্যা নেই, কিছু দাগ থেকে গেলেও সেই অবস্থায় ওজু করলে ওজু হবে।
সেই স্থানের সেই দাগ ওজুর করার জন্য ব্যবহার করা পানি প্রবাহে বাধা দিবেনা।