আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম,
ক।  আমার স্ত্রীর সঙ্গে ছোট্ট বিষয় নিয়ে মনের অমিল হয় এবং তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যাই। এবং তাকে রেগে গিয়ে অনেক কথা বলি ,  ডিভোর্স দিয়েদিবো তুই কি করবি , তোকে ভাত দিবো না তুই কি করবি এই সব  বিভিন্ন কথা বলতে থাকি ,  কিন্তু আমার মনে কখনোই তালাকের নিয়ত ছিল না।  এক্ষেত্রে কি আমার তালাক হবে?

খ।  আমার স্ত্রী খুব শান্ত প্রকৃতির কিছুই বলেনা আমাকে , আমি তাকে খুবই ভালবাসি এবং সেও আমাকে খুব ভালোবাসে , হটাৎ কি একটা কথা বললো , দিয়ে এ আমি তর্ক করতে লাগলাম কিন্তু তাকে তালাক এর নিয়ত ছিল না বরং তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বললাম তোকে তালাক দিবো , বেশি বললে এবং আমি রেগে গিয়ে এক তালাক বলে দিয়েছি কিন্তু আমার নিয়ত ছিল না, আমি খুব চিন্তিত আছি,  । ক ও খ এর  সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী আমার কটা তালাক হবে?  এবং আমাকে সবকিছু ঠিক করার রাস্তা বলে দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/42398/?show=42398#q42398 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তালাক এটি খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ ..ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮ইরওয়া ২০৪০যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

 এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ 

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনতিনি বিষয় এমন যেইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হলতালাকবিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহহাদীস নং-২০৩৯সুনানে আবু দাউদহাদীস নং-২১৯৪}

 

হেদায়া ২/৩৮৭) গ্রন্থে আছেঃ 

: (387/2، ط: رحمانیہ

فالصریح قوله انت طالق ومطلقۃ وطلقتک فهذا يقع الطلاق الرجعي ولا یفتقر الى النيۃ ولا يقع به الا واحدۃ وان نوی اكثر من ذلك۔

সারমর্মঃ 

স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়।

এক্ষেত্রে নিয়তের দিকে মুহতাজ হতে হবেনা।

এক্ষেত্রে একের বেশির নিয়ত করলেও এক তালাকই পতিত হবে।

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/26032/

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

  

ক. না প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ‘ডিভোর্স দিয়ে দিবো তুই কি করবি , তোকে ভাত দিবো না তুই কি করবি’ এ জাতীয় কথা বলার দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।

খ. হ্যাঁ, প্রশ্নে উল্লেখিত সুরতে আপনার স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। তাই তার ইদ্দত চালাকালিন সময়ের মধ্যেই তাকে মৌখিক ভাবে 'ফিরিয়ে নিলামবললেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়ে যাবে।

অথবা তার সাথে স্বামী সুলভ আচরণ করলেও ফিরিয়ে নেয়া হবে। 

আর ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে পুনরায় নতুন করে মহর নির্ধারণ করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...