আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)
edited by
১. আজকে আলাপ করার সময় বলেছিলামঃ এখন তো.....  খারাপ। মানে যুগ খারাপ। তবে যুগ উল্লেখ করেনি। এভাবে বলেছিঃ এখন তো ইয়া খারাপ। ইয়া বলতে এখানে আমি যুগ বুঝিয়েছি। এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে? কারণ, আমি শুনেছিলাম যুগের দোষ দিতে হয় না। নাকি শুধু গুনাহ হবে?

২. আমি কিভাবে বুঝবো যে আমার ঈমান চলে গেছে কি না?
৩. উপরের প্রশ্নগুলো আমি একটি ফেইক আইডি খুলে করেছি যাতে আমার রোগ মানুষের কাছে প্রকাশ না পায়। উপরের প্রশ্নগুলো করার মাধ্যমে কিংবা ফেইক আইডি খুলে প্রশ্ন করার কারণে কিংবা আইডি খোলার সময় ক্যাপচা হিসেবে আল্লাহর নাম লিখতে হয়েছে। অর্থাৎ ফেইক আইডি খোলার জন্য আল্লাহর নাম লিখতে হয়েছে। আমার কি কোন কারণে ঈমান চলে গেছে?

৪. উপরে ৩ নং প্রশ্নটি আগেও একবার করেছিলাম। তখন সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একেবারে দিয়ে ফেলেছিলেন তাই আবার করেছি। এতে কি আমার ঈমান চলে যাবে?

৫. ঈমান ভেঙে যায় - আমি যদি এমন কাজ করেও থাকি আর আমি যদি না জানি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? যেমনঃ একটি কাজ করলাম যেটা করলে ঈমান চলে যায় কিন্তু আমি জানি না।

৬. উপরের প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে কি আমার ঈমান চলে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, মানুষ সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়। অথচ আমিই সময় (সময়ের স্রষ্টা), সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে, আমি রাত-দিনের পরিবর্তন করি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯১)

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَسُبُّ ابْنُ آدَمَ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ " .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি, মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান সময় ও কালকে গাল-মন্দ করে, অথচ আমিই সময়, আমার হাতেই রাত ও দিন (-এর বিবর্তন সাধিত হয়)। (সহিহ মুসলিম-  ২২৪৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।


(০২)
আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে বড় কুফরি মূলক কোনো কাজ করেছেন কিনা,বা বড় কুফরি মূলক কথা বলেছেন কিনা,বললে কাফের হয়ে যাবেন।

(০৩)
না,আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(উল্লেখ্য যে ফেইক আইডি খোলা জায়েজ নেই।)

(০৪)
না,ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
এক্ষেত্রে জাহালত ওযর বলে গন্য হবে,ঈমান চলে যাবেনা। 

তবে তাকে তওবা ইস্তেগফার করে ফিরে আসতে হবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...