জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে কফ পাক।
নামাজের সময় যদি কফ চলে আসে, তাহলে তাহা পকেটে টিস্যু থাকলে সেটা টিস্যুতে রেখে দিবেন অথবা কফ গিলে ফেলতে পারেন, দুটোই তার জন্য জায়েজ রয়েছে। কাপড়েও মুড়ে রেখে দিতে পারেন।
কিন্তু সে থুতু পশ্চিম দিকে বা কেবলার দিকে ফেলবেন না।
বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".
কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।
সহীহ : বুখারী ৪০৫, সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।
বিস্তারিত জানুনঃ-
নামাজে মধ্যে যদি কাহারো কফ চলে আসে,তাহলে তাহা গিলে ফেলা সম্ভব হলে গিলে ফেলবে।
অন্যথায় কাপড়ের কোণায় থুথু নিবে।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানী ৩/২০২)
عمدة القاری
"من ابتلع ريقه إعظاما للمسجد ولم يمح اسما من أسماء اتعالى ببزاق كان من خيار عباد الله ۔"
(کتاب الصلاۃ،باب حک البزاق بالید من المسجد149/4 ط:دار احیاء التراث العربی)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি থথু,কফ গিলে ফেলে,মসজিদের সম্মানার্থে,,,,, তাহলে তাহা আল্লাহর ইখতিয়ারধীন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
এতে নামাজের কোনো সমস্যাই হবেনা।
(০২)
হ্যাঁ, এতে গুনাহ হবে।