আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
306 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালমুআলাইকুম।
১.আমি আমার স্ত্রীর শরীরের মুখ দিয়েছিলাম ( স্তন) সেই সময় মজার ছলে আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করলো তুমি কি ছোট বেলায় এই ভাবে আম্মুর স্তন এ মুখ দিয়েছো?  আমি তখন জিহার হবার ভয়  পেয়ে যায়  এবং তাকে এমন কথা বলতে নিষেধ করি।   তখনও আমার হাত আমার স্ত্রীর শরীরে ( স্তন) এ ছিল এবং তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রী আমাকে ছোট বেলার স্তন পান করা নিয়ে কিছু একটা বলেছিল আমি সেটা না শুনে না বুঝে  স্ত্রীর স্তন কে স্পর্শ করে বলি এই ভাবে  করে আম্মুর স্তনে স্পর্শ করতাম।

* ** যেহেতু আমার স্ত্রীর শরীর এর সঙ্গে আম্মুর শরীর এর কোনো অংশের তুলনা করেনি এক্ষেত্রে কি জিহার  হবে ? ?

***  আবার মাঝে মধ্যে ভয় ও হচ্ছে যে আমার স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে  না তো ??

***  মায়ের খালাতো বোনের সঙ্গে যদি স্ত্রীর শরীর এর কোনো অংশের সামান্য তুলনা করে এ ক্ষেত্রে কি জিহার হয়??
খুব চিন্তিত অবস্থায় আছি একটু  সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
"স্ত্রীর স্তনকে স্পর্শ করে বলি, এই ভাবে করে আম্মুর স্তনে স্পর্শ করতাম।"

যেহেতু এখানে মায়ের কোনো অঙ্গের সাথের স্ত্রীর অঙ্গকে তুলনা করা হচ্ছে না, বরং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাই যিহার হবে না। তবে এরকম কথাবার্তা আর কখনো বলবেন না। সতর্কতামূলক এরকম কথাবার্তাকে এড়িয়ে চলবেন।

(في الدرالمختار ج ٣، ص ٤٧٠ )
(وإن نوى بأنت علي مثل أمي) ، أو كأمي، وكذا لو حذف علي خانية (برا، أو ظهارا، أو طلاقا صحت نيته) ووقع ما نواه لأنه كناية (وإلا) ينو شيئا، أو حذف الكاف (لغا) وتعين الأدنى أي البر، يعني الكرامة. ويكره قوله أنت أمي ويا ابنتي ويا أختي ونحوه

وفي حاشية ابن عابدين (المسمى رد المحتار) تحت 
(قوله: ويكره إلخ) جزم بالكراهة تبعا للبحر والنهر والذي في الفتح: وفي أنت أمي لا يكون مظاهرا، وينبغي أن يكون مكروها، فقد صرحوا بأن قوله لزوجته يا أخية مكروه. وفيه حديث رواه أبو داود «أن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - سمع رجلا يقول لامرأته يا أخية فكره ذلك ونهى عنه» ومعنى النهي قربه من لفظ التشبيه، ولولا هذا الحديث لأمكن أن يقال هو ظهار لأن التشبيه في أنت أمي أقوى منه مع ذكر الأداة، ولفظ " يا أخية " استعارة بلا شك، وهي مبنية على التشبيه، لكن الحديث أفاد كونه ليس ظهارا حيث لم يبين فيه حكما سوى الكراهة والنهي، فعلم أنه لا بد في كونه ظهارا من التصريح بأداة التشبيه شرعا، ومثله أن يقول لها يا بنتي، أو يا أختي ونحوه. اهـ


মায়ের খালাতো বোনের সঙ্গে যদি স্ত্রীর শরীর এর কোনো অংশের সামান্য তুলনা করা হয়,তাহলে এ ক্ষেত্রে জিহার হবে না। যিহার শুধুমাত্র মাহরামে আবদি(যাদেরকে চিরস্থায়ী বিয়ে হারাম,যেমন মা,বোন ইত্যাদি) মহিলাদের স্ত্রীকে তুলনা করলেই হয়ে থাকে।মায়ের খালাতো বোন,মাহরাম নয়, তাই তার সাথে নিজের স্ত্রীকে তুলনা করলে যিহার হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...