জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) তাহাজ্জুদ,এবং সেহরীর সময় শেষ হয় সুবহে সাদিক শুরু হলে। সুবহে সাদিক শুরু হওয়া মানেই তাহাজ্জুদ,এবং সেহরীর সময় শেষ। আর সুবহে সাদিক শুরু হওয়া মানেই ফজরের সময় শুরু।
কিন্তু এখানে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। সেটি হলো ক্যালেন্ডার গুলোতে দেখা যায়, সেখানে লেখা আছে, সতর্কতা স্বরূপ তিন বা ৫ মিনিট হাতে রেখে সময় উল্লেখ করা হয়েছে।
যেমন যদি চারটা ৪৭ মিনিটে যদি সুবহে সাদিক শুরু হয়, তাহলে ক্যালেন্ডারে লেখা হয়েছে সুবহে সাদিক শুরু চারটা ৪৪ বা ৪২ শে।
মানে তিন বা পাঁচ মিনিট হাতে রেখে সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সতর্কতা স্বরূপ আগেই সময় শেষ হয়েছে লেখা হয়, যেন কোন ব্যক্তি শেষ মুহুর্তে পানি খেলেও তার রোযাটা না ভাঙ্গে।
وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ
مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। {সূরা বাকারা-১৮৭}
عَنْ بِلَالٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «لَا تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا» وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا، (سنن ابى داود، رقم الحديث-1171)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ হযরত বেলাল রাঃ কে ফজর স্পষ্ট দেখা দিলে আযান দিতে বলেছেন।
.
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বিতির আদায় হয়ে গিয়েছে,তাই তার কাজা আদায় করতে হবেনা।
(০২)
বিতির নামাজেরও কাজা আদায় করতে হবে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى رجل يقضي الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع
ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না?তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে।অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময় বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।আর যদি বিতির না হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল হিসেবে গণ্য হবে।নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৫)
বিতির নামাজের কাযা সংক্রান্ত আরো জানুন
বিতির নামাজ ৩ রাকাত
,
তাই তার কাযাও তিন রাকাতই আদায় করতে হবে।
,
(উল্লেখ্য কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে জোড় আদায় করতে হবে,তাদের মতানুসারীরা সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।)