আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
কোন মুসলমান বাবা-মা যদি তাঁদের ছেলে-মেয়েদের হারাম উপার্জন (যেমন: সুদ, ঘুষ) করতে প্ররোচিত করে বা বাধ্য করে, এক্ষেত্রে সন্তান যদি না করে, তাহলে সন্তান কি পিতা-মাতার অবাধ্য হলো না??

কোন পরিবারের 2 ভাই এর মধ্যে 1 জন হারাম উপার্জন করে এবং 1 জন হালাল। এখন 2 জন টাকায় সংসার পরিচালনা করতে হয়। এক্ষেত্রে হালাল উপার্জনকারীর করণীয় কি? এতে কি হালাল উপার্জনকারীও কি হারামের সাথে সংযুক্ত হবে।

যে ব্যক্তি হারাম চাকুরী করে সে যখন নামাজ পড়ে ও রোজা রাখে। তাঁর ফরজ আদায় হবে কি? মানে অন্তত নামাজ না পড়ার গুনাহ থেকে কি মুক্তি পাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোন মুসলমান বাবা-মা যদি তাঁদের ছেলে-মেয়েদের হারাম উপার্জন (যেমন: সুদ, ঘুষ) করতে প্ররোচিত করে বা বাধ্য করে, এক্ষেত্রে সন্তান যদি না করে, তাহলে সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না।

(২)
হালাল উপার্জনকারীর উপর অত্যান্ত জরুরী যে, সে পৃথক থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সম্ভাবনা থেকে যায় যে, তার পেঠেও হারাম ঢুকে যাবে।তাই সতর্কতামূলক পৃথক হতেই হবে।

যিনি হারাম ভক্ষণ করবেন, উনার কোনো প্রকার ইবাদতই কবুল হবে না যতক্ষণ হারামকে ছেড়ে দিয়ে তাওবাহ করছেন। হারাম কে পরিত্যাগ করার পর তাওবাহ করে নিলে ঐ ইবাদত গুলো কবুল হবে।উক্ত ইবাদতকে আবার দোহড়াতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 39 views
...