আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম

  1.  তাশাহুদ পড়ে সালাম ফেরালে নামাজ হবে?
  2.  আল্লাহর বিধান বিচার করা কি ফরয না নফল না সুন্নত না মুস্তাহাব?
  3.  আল্লাহর বিধান বিচার করা কি সরকারের উপর ফরজ না জনগনের উপর?
  4.  কোরআনে আল্লাহ যে বিচারের বর্ণনা দিয়েছেন সেটা কি ফরজ নয়? যেমন চুরি করলে হাত কেটে দাও, যিনা করলে ১০০ বেত্রাঘাত এসব আইন প্রয়োগ করা কি ফরজ নয়?
  5.  আল্লাহর এসব বিধান ব্যাতিত অন্য কোন বিধান কেউ সমর্থন করলে বা সঠিক বললে তার ঈমান থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

  1. জ্বী, নামায হবে।
  2. ফরয
  3. সরকারের উপর।আর জনগণের উপর ফরয একটা ইসলামি সরকারের ব্যবস্থা করা।
  4. জ্বী, ফরয।
  5. না,তার ঈমান থাকবে না।তবে আল্লাহর বিধানের প্রতি সমর্থন রেখে গায়রুল্লাহর বিধানে বিচার করলে মুনাফিক হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিচারকের বিচারকার্য সম্পাদনা  ফেকহী দৃষ্টিকোণে সর্বমোট পাঁচ প্রকারঃ-
 যেমনঃফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে........
وَالْقَضَاءُ عَلَى خَمْسَةِ أَوْجُهٍ. وَاجِبٍ، وَهُوَ أَنْ يَتَعَيَّنَ لَهُ وَلَا يُوجَدَ مَنْ يَصْلُحُ غَيْرُهُ.
১/ওয়াজিব।বিজ্ঞ বিচারকের জন্য  বিচারকার্য সম্পাদন  করা ঐ সময় ওয়াজিব হয়ে যায়,যখন বিচারক হিসেবে সেই এখানে একমাত্র যোগ্য থাকে এছাড়া আর অন্য কেউ নাথাকে।
وَمُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ أَنْ يُوجَدَ مَنْ يَصْلُحُ لَكِنَّهُ هُوَ أَصْلَحُ وَأَقْوَمُ بِهِ.
২/মুস্তাহাব। এবং ঐ সময়  মুস্তাহাব হবে যখন যোগ্য অন্যরাও থাকবে কিন্তু সে অন্যান্যদের থেকে যোগ্যতায় অগ্রগামী থাকবে।। 
وَمُخَيَّرٍ فِيهِ، وَهُوَ أَنْ يَسْتَوِيَ هُوَ وَغَيْرُهُ فِي الصَّلَاحِيَّةِ، وَالْقِيَامِ بِهِ، وَهُوَ مُخَيَّرٌ إنْ شَاءَ قَبِلَهُ، وَإِنْ شَاءَ لَا.
৩/মুবাহ(ইচ্ছাধীন)।ঐ সময় মুবাহ হবে যখন সে এবং অন্যান্যরা যোগ্যতা বিবচনায় প্রায় সমান সমান থাকবে,তখন বিচারকার্য সম্পাদন করা তার ইচ্ছাস্বাধীন হবে, অর্থাৎ সে বিচার করতেও পারবে আবার না করতেও পারবে।
وَمَكْرُوهٍ، وَهُوَ أَنْ يَكُونَ صَالِحًا لِلْقَضَاءِ لَكِنَّ غَيْرَهُ أَصْلَحُ.
৪/মাকরুহ।ঐ সময় মাকরুহ হবে যখন উক্ত ব্যক্তি  যোগ্যতাসম্পন্ন হবে কিন্তু তার চেয়ে বেশী যোগ্যতাসম্পন্নন  সেখানে বর্তমান থাকবে।
وَحَرَامٍ، وَهُوَ أَنْ يَعْلَمَ مِنْ نَفْسِهِ الْعَجْزَ عَنْهُ وَعَدَمَ الْإِنْصَافِ فِيهِ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ بَاطِنِهِ مِنْ اتِّبَاعِ الْهَوَى مَا لَا يَعْرِفُونَهُ فَيَحْرُمُ عَلَيْهِ كَذَا فِي خِزَانَةِ الْمُفْتِين
৫/হারাম।ঐ সময় হারাম হবে যখন উক্ত বিচারক নিজের অযোগ্যতা ও অপারগতা সম্পর্কে অবগত,সাথে সাথে নিজের পক্ষ্য থেকে অন্যায়-অবিচারের প্রবল  সম্ভাবনা তার মধ্যে বিদ্যমান,কেননা সে যে প্রবৃত্তির গোলাম একথা তার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 623


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...