ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
- জ্বী, নামায হবে।
- ফরয
- সরকারের উপর।আর জনগণের উপর ফরয একটা ইসলামি সরকারের ব্যবস্থা করা।
- জ্বী, ফরয।
- না,তার ঈমান থাকবে না।তবে আল্লাহর বিধানের প্রতি সমর্থন রেখে গায়রুল্লাহর বিধানে বিচার করলে মুনাফিক হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিচারকের বিচারকার্য সম্পাদনা ফেকহী দৃষ্টিকোণে সর্বমোট পাঁচ প্রকারঃ-
যেমনঃফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে........
وَالْقَضَاءُ عَلَى خَمْسَةِ أَوْجُهٍ. وَاجِبٍ، وَهُوَ أَنْ يَتَعَيَّنَ لَهُ وَلَا يُوجَدَ مَنْ يَصْلُحُ غَيْرُهُ.
১/ওয়াজিব।বিজ্ঞ বিচারকের জন্য বিচারকার্য সম্পাদন করা ঐ সময় ওয়াজিব হয়ে যায়,যখন বিচারক হিসেবে সেই এখানে একমাত্র যোগ্য থাকে এছাড়া আর অন্য কেউ নাথাকে।
وَمُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ أَنْ يُوجَدَ مَنْ يَصْلُحُ لَكِنَّهُ هُوَ أَصْلَحُ وَأَقْوَمُ بِهِ.
২/মুস্তাহাব। এবং ঐ সময় মুস্তাহাব হবে যখন যোগ্য অন্যরাও থাকবে কিন্তু সে অন্যান্যদের থেকে যোগ্যতায় অগ্রগামী থাকবে।।
وَمُخَيَّرٍ فِيهِ، وَهُوَ أَنْ يَسْتَوِيَ هُوَ وَغَيْرُهُ فِي الصَّلَاحِيَّةِ، وَالْقِيَامِ بِهِ، وَهُوَ مُخَيَّرٌ إنْ شَاءَ قَبِلَهُ، وَإِنْ شَاءَ لَا.
৩/মুবাহ(ইচ্ছাধীন)।ঐ সময় মুবাহ হবে যখন সে এবং অন্যান্যরা যোগ্যতা বিবচনায় প্রায় সমান সমান থাকবে,তখন বিচারকার্য সম্পাদন করা তার ইচ্ছাস্বাধীন হবে, অর্থাৎ সে বিচার করতেও পারবে আবার না করতেও পারবে।
وَمَكْرُوهٍ، وَهُوَ أَنْ يَكُونَ صَالِحًا لِلْقَضَاءِ لَكِنَّ غَيْرَهُ أَصْلَحُ.
৪/মাকরুহ।ঐ সময় মাকরুহ হবে যখন উক্ত ব্যক্তি যোগ্যতাসম্পন্ন হবে কিন্তু তার চেয়ে বেশী যোগ্যতাসম্পন্নন সেখানে বর্তমান থাকবে।
وَحَرَامٍ، وَهُوَ أَنْ يَعْلَمَ مِنْ نَفْسِهِ الْعَجْزَ عَنْهُ وَعَدَمَ الْإِنْصَافِ فِيهِ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ بَاطِنِهِ مِنْ اتِّبَاعِ الْهَوَى مَا لَا يَعْرِفُونَهُ فَيَحْرُمُ عَلَيْهِ كَذَا فِي خِزَانَةِ الْمُفْتِين
৫/হারাম।ঐ সময় হারাম হবে যখন উক্ত বিচারক নিজের অযোগ্যতা ও অপারগতা সম্পর্কে অবগত,সাথে সাথে নিজের পক্ষ্য থেকে অন্যায়-অবিচারের প্রবল সম্ভাবনা তার মধ্যে বিদ্যমান,কেননা সে যে প্রবৃত্তির গোলাম একথা তার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
623