আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আপন চাচা কে বিয়ে করা যাবে? অনেক ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে তারা....

এর আগে এক বোনের এরকম সমস্যার কথা প্রশ্ন করেছিলাম. তখন উত্তরে এরকম কিছু বলেছিলেন তাই surely জানতে চাই

বোন টা তার চাচাকে বিয়ে করতে চাইছে. সহবাস ছাড়া বাকি সবকিছুই তাদের হয়ে গেছে...কি করবে তারা?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


চাচা মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। 
চাচাকে বিবাহ করা হারাম। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মাহরামদের বর্ণনায় ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ

‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে,,, (নিসা ৪/২৩)। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ اسْتَأْذَنَ عَلَيَّ أَفْلَحُ أَخُوْ أَبِي الْقُعَيْسِ بَعْدَمَا أُنْزِلَ الْحِجَابُ فَقُلْتُ لَا آذَنُ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ فِيْهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ أَخَاهُ أَبَا الْقُعَيْسِ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِيْ وَلَكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ فَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أَفْلَحَ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ اسْتَأْذَنَ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَا مَنَعَكِ أَنْ تَأْذَنِيْ عَمُّكِ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ الرَّجُلَ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِيْ وَلَكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ فَقَالَ ائْذَنِيْ لَهُ فَإِنَّهُ عَمُّكِ تَرِبَتْ يَمِيْنُكِ قَالَ عُرْوَةُ فَلِذَلِكَ كَانَتْ عَائِشَةُ تَقُوْلُ حَرِّمُوْا مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا تُحَرِّمُوْنَ مِنْ النَّسَبِ.

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর, আবুল কু’আয়স এর ভাই-আফলাহ আমার কাছে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। আমি বললাম, এ ব্যাপারে যতক্ষণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি না দিবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দিতে পারি না। কেননা তার ভাই আবূ কু‘আয়স নিজে আমাকে দুধ পান করাননি। কিন্তু আবুল কু’আয়সের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন। আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আবুল কু’আয়সের ভাই-আফরাহ্ আমার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইছিল। আমি এ বলে অস্বীকার করেছি যে, যতক্ষণ আপনি এ ব্যাপারে অনুমতি না দিবেন, ততক্ষণ আমি অনুমতি দিব না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার চাচাকে (দেখা করার) অনুমতি দিতে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বললাম, সে ব্যক্তি তো আমাকে দুধ পান করাননি; কিন্তু আবুল কু’আয়াসের স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছে। এরপর তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, তোমার হাত ধুলায় ধূসরিত হোক, তাকে অনুমতি দাও, কেননা, সে তোমার চাচা। ‘উরওয়াহ বলেন, এ কারণে ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলতেন বংশ সম্বন্ধের কারণে যাকে তোমরা হারাম জান, দুগ্ধ-পানের কারণেও তাকে হারাম জানবে। [বুখারী শরীফ ৪৭৯৬.২৬৪৪; মুসলিম ১৭/২, হাঃ ১৪৪৫, আহমাদ ২৪১০৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৩৩)

উক্ত হাদীসে আছে যে আয়েশা (রাঃ)-এর জনৈক দুধসম্পর্কীয় চাচা তাঁর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন। রাসূল (ছাঃ) বাড়িতে আসলে বিষয়টি তিনি তাকে অবহিত করেন। তখন নবী করীম (ছাঃ) বলেন, তুমি তাকে অনুমতি দাও 
,
 দুধসম্পর্কীয় চাচা যদি মাহরাম হন, সেখানে আপন চাচা ও মামা আরো ঘনিষ্ঠ মাহরাম।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপন চাচাকে বিবাহ করা হারাম।
তিনি মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ কল্পনাও করা যায়না,এতে সারাজীবন যেনার সংসার হবে।

তাই দ্রুত এহেন চিন্তাভাবনা হতে সরে আসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...