আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পবিত্রতা (Purity) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর,
০১.যদি অদৃশ্যমান নাজাসাতের কারণে ঘরের আসাবাবপত্র মোছা হয়, তবে প্রতিটি আসবাবপত্র মোছার পূর্বে  নতুন করে ন্যাকড়াকে তিন বার ধৌত করতে হবে কি, নাকি একবারেই সব আসবাব মোছা যাবে?
 ০২. নাপাক পানি (যা অদৃশ্যমান নাজাসাত) হাতে লাগল।তারপর সেই ভেজা হাত দিয়ে কোন মোবাইল ধরা হল।পরবর্তীতে মোবাইলটি শুকিয়ে যায়। তারপর মোবাইলটাকে ভেজা হাতে ধরা হল(পবিত্র পানিতে ভেজা হাত)। তাহলে হাত নাপাক হয়ে গেছে, কারণ নাপাক জিনিস ভিজলে নাপাকি চলে আসে। এবার সেই ভেজা হাত বিভিন্ন জায়গায় যেমন - গায়ের কাপড়-আসবাবপত্রতে লাগল।
প্রশ্ন হল -যেসব বস্তুতে ভেজা হাতটা লাগবে সবই কি নাপাক হয়ে যাবে???

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

ইসলামি শরীয়াহ মতে মেঝেতে কোন নাপাকি পড়লে তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই মেঝে নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে। তারপর  খালি পায়ে বা ভেজা পায়ে ঐ জায়গায় চলাচলে কোন অসুবিধা নেই। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২)

আরো জানুনঃ 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রতিটি আসবাবপত্র মোছার পূর্বে নতুন করে ন্যাকড়াকে নতুন পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।

ন্যাকড়া তিনবার ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।

প্রত্যেকটি আসবাবপত্র তিনবার মোছার দ্বারা আসবাব পত্র পাক হয়ে যাবে।
তিনবার মোছার ক্ষেত্রে প্রত্যেকবার ন্যাকড়া নতুন পানি দিয়ে একবার ধোয়া লাগবে।

(০২)
যে বস্তুতে উক্ত ভেজা হাত লাগবে,সেখানে ভেজা পাওয়া গেলে সেই বস্তু নাপাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...