আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

একটা মেয়ে বিয়ে হয়েছে কিন্তুু এখনো বাবার বাড়িতে থাকে নামিয়ে নেই নি।স্বামী টাকার জন্য লাগতেছে তাই অল্প জায়গা বিক্রি করে দিবে বলতেছে।মেয়ের বাবার বাড়িতে একটু বড়লোক এখনো বিয়েটা মেনে নেই নি।ছেলের আগে টাকা ছিল,এখন একটু কমে গেছে।তহ মেয়েটা বলতেছে কস্ট হলেও বিক্রি করিয়েন না, মানুস এখন কত কথা বলতেছে তখন আরো বলবে,থাকার জায়গাটাও নাই বলবে।ছেলেটা মানে স্বামী বলে আমার বেশি আছে তাই বিক্রি করে ফেলব।স্ত্রী বলে কি বেশি আছে যে ছোট ছোট রুম হবে একটা ওঠোন ও থাকবে না এতটুকু আছে আর কি।স্বামী বলে তুমাদের বাসায় মানে বাপের বাড়িতে আছে ওঠান আর বড় রুম।স্ত্রী বলে হুম।তারপর স্বামী বলে ওখানে থাকিও।এবার স্ত্রীর ভয়,হয় কোন নিয়তে বলেছে সেটা ভেবে।স্বামীকে সরাসরি কোন নিয়তে বলেছে জিগ্যেস করলে রেগে যাবে,কারন আগে অনেক বার বলেছিল এই ব্যপারে কোন কথা না বলতে।তাই স্ত্রী কৌশলে জিগ্যেস করেছে আমাকে কি নিয়ে যাবেন না আপনার বাড়িতে? কেন বলেছেন এইগুলা? স্বামী বলে আনব না কেন? আরো বলে স্বামী বেশির ভাগ বাবার বাড়ি থাকিও সেটা সেটা বুঝিয়েছি কারন তুমার রুম বড় প্রয়োজন।আবার একই প্রশ্ন জিগ্যেস করায় বিরক্ত হয়ে বলেছে থেথ রাখ তহ মানে মেসেজে।স্বামীর সাথে সব কথা মেসেজে হয়েছে।স্বামীকে কি আর কোন প্রশ্ন করা উচিত হবে? কারন স্বামী রেগে যায়।ওদের সংংসার বৈধ তহ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উল্লেখিত কথা বলায় এখানে কোনো তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন,কোনো সমস্যা নেই।
এই জাতীয় ব্যাপার নিয়ে স্বামী যেহেতু প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছেন,তাই স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবেনা।

★উল্লেখ্য যে এখানে স্বামী তার স্ত্রীকে বেশির ভাগ বাবার বাড়ি থাকার কথা বলেছেন,বিষয়টি বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত সঠিক নয়।

কেননা বিবাহের পর স্ত্রীকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন রাখা ইসলাম সমর্থন করে না।
,
ইসলামের পক্ষ থেকে স্বামী এই মর্মে আদিষ্ট যে সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রীর জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে। বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে স্ত্রীদের সংকটে ফেলে দেওয়ার ইখতিয়ার স্বামীকে দেওয়া হয়নি।

 মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,

اَسۡکِنُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ سَکَنۡتُمۡ مِّنۡ وُّجۡدِکُمۡ وَ لَا تُضَآرُّوۡہُنَّ لِتُضَیِّقُوۡا عَلَیۡہِنَّ ؕ

 ‘তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেমন ঘরে বাস করো, তাদেরও (স্ত্রীদের) ওই ধরনের ঘরে বাস করতে দেবে। সংকটে ফেলার জন্য (বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে) তাদের কষ্ট দিয়ো না...।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৬)


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الْمُهَلَّبِيُّ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَزِينٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ دَاوُدَ الْوَرَّاقِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقُلْتُ: مَا تَقُولُ: فِي نِسَائِنَا قَالَ: أَطْعِمُوهُنَّ مِمَّا تَأْكُلُونَ، وَاكْسُوهُنَّ مِمَّا تَكْتَسُونَ، وَلَا تَضْرِبُوهُنَّ، وَلَا تُقَبِّحُوهُنَّ صحيح

মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম, আমাদের স্ত্রীদের (হক) সম্পর্কে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তোমরা যা খাবে তাদেকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে, তাদেরকেও তা পরিধান করাবে। তাদেরকে প্রহার করবে না এবং গালিগালাজ করবে না।
(আবু দাউদ ২১৪৪)

উল্লেখিত হাদীসে রাসুল (সা.) স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যে তোমরা যা খাও ও পরিধান করো, তাদের তা খাওয়াও ও পরিধান করাও। 
সুতরাং এখান থেকে বুঝা যায় যে তোমরা যেখানে থাকবে,স্ত্রীদেরকেও সেখানে (পর্দা) মেইনটেইন করে রাখো।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলা ঠিক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...