আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
399 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ,
শায়খ আমি অনার্সের একজন ছাত্রী। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর বুঝ আসে,সহশিক্ষা -ফ্রি মিক্সিং এর ব্যাপারে।

এখন আমার ২য় বর্ষ চলছে।এমতাবস্থায় আমার জেনারেল পড়ার ইচ্ছে চলে গেছে(iom এর ২য় সেমিস্টারের ছাত্রী)। আমি নিজেই ভুক্তভোগী এব্যাপারে।চাইলেও ফেতনা থেকে বাঁচা যায় না।সেখানে দ্বীনের কোনো বান্ধবী ও নেই।

কলেজ বাসা থেকে দূরে হওয়ার প্রতিদিন যেতে পারিনা (শারিরীকভাবে দুর্বল তাই জার্নি করতে পারিনা)।কলেজের বিভিন্ন পরিক্ষা, অন্যান্য আপডেট জানার জন্য মেয়ে বান্ধবী কে রিকুয়েষ্ট করলেও তারা ইন্টারেস্ট দেখায় না।বাধ্য হয়ে ছেলেদের জিজ্ঞাসা করতে হয়।কিন্তু এতে আমার গায়রতে লাগে,মনে মনে  অস্বস্তি লাগে।আমি চাই দৃশ্যমান  সকল পাপ থেকে নিজেকে আড়াল রাখতে.......


আমার মনে হয় এর জন্য আল্লহ আমার ওপর নারাজ তাই হয়তো কিছু কিছু দু'আ কবুল হচ্ছে না।তবে পরিবার এখানে সাহায্য করছে না।(আমার পরিবার দ্বীনি না)।তাদের কথা অনার্স, মাস্টার্স করে জব করতেই হবে।আমি আগ্রহী না।

ইসলামিক পড়াশোনা আমার অনেক ভালো লাগে....

এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত???আব্বু কে জেনারেল পড়া ছাড়ার ব্যাপারে কিছু বললে আব্বু অনেক কষ্ট পায়,হাই প্রেশার বেড়ে যায়......তাদের ধারণা জব করলে সবাই সম্মান দিবে, আর ভালো ছেলের সাথে বিয়ে হবে.....কিন্তু আমার একটুও ইচ্ছে নেই।জানাবেন দয়া করে আমার কি করা উচিত??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/30426/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;

সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এ শর্তাবলি পুরোপুরি ভাবে মেনে উক্ত কলেজে পড়া আপনার জন্য জায়েজ হবে। 
আপনি দ্বীন শেখার পাশাপাশি পূর্ণ পর্দা মেনে কলেজে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন,তবে ছেলেদের থেকে প্রশ্নে উল্লেখিত আপডেট না জেনে বিকল্প ব্যবস্থা করবেন।
,
মেয়েদের মধ্যে যারা ভালো ছাত্রী তাদের সহায়তা নিতে পারেন,কলেজ এর যারা এই বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে,তাদের থেকে জেনে নিতে পারেন।
,
এগুলোতে আপডেট নেয়া সম্ভব না হলে নিজের মাহরাম কোনো পুরুষ (ভাই/বাবা) দের মাধ্যমে কলেজের সেই ছেলেদের থেকে আপডেট নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...