আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

১/খাবার পূর্বে বিসমিল্লাহ না বললে সেই খাবারে শয়তান শরিক হয়।তাহলে তো খাবার কমে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তা আমরা চোখে দেখতে পাই না কেন?তাহলে কি খাবারের উপরও এমন কোনো খাবার থাকে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না।

২/রাত জেগে পড়ার বিধান কি জেনারেল লাইনের বিষয়সমূহের পড়াশুনা।এতে কি গুনাহ হবে?

৩/ঘুমের আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়াহজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমাদের কোনো ব্যক্তি বিছানায় (ঘুমাতে) যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কিনা। তারপর পড়বে-

 فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَউচ্চারণ : বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু ঝাম্বি, ওয়া বিকা আরফাউহু, ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা, ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজ বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।’অর্থ : ‘হে আমার রব্ব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠবো। যদি আপনি ইতোমধ্যে আমার জান কব্‌য করে নেন তা হলে, তার উপর রহম করবেন। আর যদি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, তবে তাকে এমনভাবে হেফাজত করবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হেফাজত করে থাকেন।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

[লুঙ্গির ভেতরের দিক বলতে এখানে কি লুঙ্গিকে উল্টো করে বিছানা ঝেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে?]

৪/আমি জেনারেল লাইনে পড়ি।শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাকে অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে।তবে অনলাইন ক্লাসে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,নারীদের শিক্ষাদান ইত্যাদি বিষয় আছে।এখন আমি যদি এই নিয়তে এই ক্লাস করি যে ভবিষ্যতে এই জ্ঞান অর্জন আল্লাহর দ্বীনের কাজে ব্যয় করব এবং পরিপূর্ণ দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করব তবে কি আমার জন্য জায়েজ হবে।উল্লেখ্য আমি এই বিষয়ে বাধ্য এক তো মা-বাবার টাকা খরচ করেছি।অন্যদিকে অনলাইন ক্লাস না করলে রেজাল্ট ভালো যদি না হয়।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
খাবারের পূর্বে বিসমিল্লাহ না বললে সেই খাবারে শয়তান শরিক হয়। এর অর্থ হল, সেই খাবারের বরকত কমে যায়। যে খাবার খেয়ে আপনার পরিতৃপ্ত হওয়ার কথা ছিল, সেই খাবারকে ভক্ষণ করার পরও আপনি পরিতৃপ্ত হবেন না।কেননা, আপনার খাবারের বরকত কমে গেছে। সরাসরি খাবার তো আর শয়তান ভক্ষণ করবে না।


(২)
গোনাহ তো হবে না।তবে উত্তম হল, রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং শেষাংশে উঠে পড়া। 


(৩)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَضْطَجِعَ عَلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْزِعْ دَاخِلَةَ إِزَارِهِ ثُمَّ لْيَنْفُضْ بِهَا فِرَاشَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَضْطَجِعْ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ لْيَقُلْ رَبِّ بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا حَفِظْتَ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ " .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করে, তখন সে যেন তার লুঙ্গীর ভেতরাংশ ঝেড়ে নেয়, অতঃপর তা দিয়ে তার বিছানা ঝেড়ে ফেলে। কেননা সে জানে না যে, তার অনুপস্থিতিতে বিছানায় কী পতিত হয়েছে। অতঃপর সে যেন তার ডান কাতে শোয়,অতঃপর বলে, ’’হে আমার রব! তোমার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ বিছানায় এলিয়ে দিলাম এবং তোমার নামেই আবার তা উঠাবো। যদি তুমি আমার জান রেখে দাও (মৃত্যু দান করো) তবে তার প্রতি দয়া করো, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তার সেইভাবে হেফাজত করো যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের হেফাজত করো।(সহীহুল বুখারী ৬৩২০, ৭৩৯৩, মুসলিম ২৭১৪, তিরমিযী ৩৪০১, আবূ দাউদ ৫০৫০, আহমাদ ৭৩১৩, ৭৭৫২, ৭৮৭৮, ৯১৭৩, ৯৩০৬, দারেমী ২৬৮৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ)

..
নিজের লুঙ্গি দ্বারা ঝাড়ুর কথা বলার কারণ হল, আরবদের তখনকার সময়ে একটি লুঙ্গিই থাকতো,যা তাদের পরিহিত থাকতো।লুঙ্গির ভিতরের অংশ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যাতেকরে বাহিরের অংশ পরিস্কার থাকে।


(৪)
জ্বী,  মনে মনে ইস্তেগফার রেখে আপনি করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...