ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
খাবারের পূর্বে বিসমিল্লাহ না বললে সেই খাবারে শয়তান শরিক হয়। এর অর্থ হল, সেই খাবারের বরকত কমে যায়। যে খাবার খেয়ে আপনার পরিতৃপ্ত হওয়ার কথা ছিল, সেই খাবারকে ভক্ষণ করার পরও আপনি পরিতৃপ্ত হবেন না।কেননা, আপনার খাবারের বরকত কমে গেছে। সরাসরি খাবার তো আর শয়তান ভক্ষণ করবে না।
(২)
গোনাহ তো হবে না।তবে উত্তম হল, রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং শেষাংশে উঠে পড়া।
(৩)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَضْطَجِعَ عَلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْزِعْ دَاخِلَةَ إِزَارِهِ ثُمَّ لْيَنْفُضْ بِهَا فِرَاشَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَضْطَجِعْ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ لْيَقُلْ رَبِّ بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا حَفِظْتَ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ " .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করে, তখন সে যেন তার লুঙ্গীর ভেতরাংশ ঝেড়ে নেয়, অতঃপর তা দিয়ে তার বিছানা ঝেড়ে ফেলে। কেননা সে জানে না যে, তার অনুপস্থিতিতে বিছানায় কী পতিত হয়েছে। অতঃপর সে যেন তার ডান কাতে শোয়,অতঃপর বলে, ’’হে আমার রব! তোমার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ বিছানায় এলিয়ে দিলাম এবং তোমার নামেই আবার তা উঠাবো। যদি তুমি আমার জান রেখে দাও (মৃত্যু দান করো) তবে তার প্রতি দয়া করো, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তার সেইভাবে হেফাজত করো যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের হেফাজত করো।(সহীহুল বুখারী ৬৩২০, ৭৩৯৩, মুসলিম ২৭১৪, তিরমিযী ৩৪০১, আবূ দাউদ ৫০৫০, আহমাদ ৭৩১৩, ৭৭৫২, ৭৮৭৮, ৯১৭৩, ৯৩০৬, দারেমী ২৬৮৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ)
..
নিজের লুঙ্গি দ্বারা ঝাড়ুর কথা বলার কারণ হল, আরবদের তখনকার সময়ে একটি লুঙ্গিই থাকতো,যা তাদের পরিহিত থাকতো।লুঙ্গির ভিতরের অংশ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যাতেকরে বাহিরের অংশ পরিস্কার থাকে।
(৪)
জ্বী, মনে মনে ইস্তেগফার রেখে আপনি করতে পারবেন।