আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমার বাবা সামরিক বাহিনীর অধীনে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। বাবার একজন সহকর্মী তার রেশন ভাউচার বাবার কাছে বন্ধক রেখে এক লক্ষ টাকা ধার চায়।এই রেশন ভাউচার যার কাছে থাকে সে সরকার থেকে প্রাপ্ত রেশন ভোগ করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা রীতি আছে যে কেউ এরকম করে তার নিজের রেশন ভাউচার অন্যের কাছে বন্ধক রেখে টাকা ঋণ নেয় আর যতদিন টাকা পরিশোধ করতে না পারে ততদিন সে ভাউচার অনুযায়ী সরকার থেকে ঐ ব্যক্তির নামে বরাদ্দকৃত রেশন ভোগ করতে পারে। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতার সম্মতি থাকে।এটাকি সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
২.কখনো কখনো ঋণদাতা এই শর্ত যুক্ত করে যে ঋণ নেয়ার ৩ মাসের আগে ভাউচার ফেরত নিতে পারবে না।এই সুরতে কি জায়েজ হবে।
৩.যদি কোনোটাই জায়েজ না হয় আর ভাউচার বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া হয় এমতাবস্থায় সরকার থেকে প্রাপ্ত রেশন গুলোর জন্য কি করণীয়? বরাদ্দকৃত রেশনে থাকে চাল,আটা,সয়াবিন তেল, লবন, চিনি, কারো কারো জন্য প্যাকেটজাত চা, ডাল। এগুলো সাধারণত দেখা যায় ঋণ দাতারা বাজারে বিক্রি করে।মূলত অনেকেই এটাকে ব্যবসা হিসেবে গন্য করতেছে।মাসে মাসে প্রাপ্ত এই রেশন গুলোর জন্য কি করা উচিত। এগুলো কি ঋণ দাতার সম্মতিতে বাজারে বিক্রি করে টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবে নাকি মূল রেশনই রাখতে হবে। তখন হয়তো রাখার জায়গা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।বাসায় রাখার জায়গাই হয়তো পাওয়া যাবে না।কিছু কিছু জিনিস নষ্টও হয়ে যেতে পারে।