আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমার বাবা সামরিক বাহিনীর অধীনে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। বাবার একজন সহকর্মী  তার রেশন ভাউচার বাবার কাছে  বন্ধক রেখে এক লক্ষ টাকা ধার চায়।এই রেশন ভাউচার যার কাছে থাকে সে সরকার থেকে প্রাপ্ত রেশন ভোগ করতে পারে।   এই প্রতিষ্ঠানগুলোর  একটা রীতি আছে যে কেউ এরকম করে তার নিজের রেশন ভাউচার অন্যের কাছে বন্ধক রেখে টাকা ঋণ নেয় আর যতদিন টাকা পরিশোধ করতে না পারে ততদিন সে ভাউচার অনুযায়ী সরকার থেকে ঐ ব্যক্তির নামে বরাদ্দকৃত রেশন ভোগ করতে পারে। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতার সম্মতি থাকে।এটাকি সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

২.কখনো কখনো ঋণদাতা এই শর্ত যুক্ত করে যে ঋণ নেয়ার ৩ মাসের আগে ভাউচার ফেরত নিতে পারবে না।এই সুরতে কি জায়েজ হবে।

৩.যদি কোনোটাই জায়েজ না হয় আর ভাউচার বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া হয় এমতাবস্থায়  সরকার থেকে প্রাপ্ত রেশন গুলোর জন্য কি করণীয়?  বরাদ্দকৃত রেশনে থাকে চাল,আটা,সয়াবিন তেল, লবন, চিনি, কারো কারো জন্য প্যাকেটজাত চা, ডাল। এগুলো সাধারণত দেখা যায় ঋণ দাতারা বাজারে বিক্রি করে।মূলত অনেকেই এটাকে ব্যবসা হিসেবে গন্য করতেছে।মাসে মাসে প্রাপ্ত   এই রেশন গুলোর জন্য কি করা উচিত। এগুলো কি ঋণ দাতার সম্মতিতে বাজারে বিক্রি করে টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবে নাকি মূল রেশনই রাখতে হবে। তখন হয়তো রাখার জায়গা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।বাসায় রাখার জায়গাই হয়তো পাওয়া যাবে না।কিছু কিছু জিনিস নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
বন্ধকি প্রথা হারাম নয়, বরং বন্ধকী লেনদেন করার পর উক্ত জিনিষের ব্যবহার সুদের আওতাধীন।
https://www.ifatwa.info/4958 নং ফাতাওয়ায় বন্ধকী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার এক পর্যায়ে আমরা বলেছি যে, বর্তমান সমাজে জমি বন্ধকের প্রচলন রয়েছে।অহরহ জমি বন্ধক দেওয়া হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু জমি বন্ধকের ইসলামী নিয়মনীতি কি এ সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই।

ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(ُبِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4958

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো পদ্ধতিই জায়েয হবে না। বরং রেশন কার্ডকে বন্ধক রাখলে উক্ত কার্ড দ্বারা কোনো কিছুই গ্রহণ করা যাবে না।গ্রহণ করলে সেটা জায়েয হবে না। রেশন কার্ড যার সেই সর্বদা ঐ মালগুলোর মালিক বলে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (606,750 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...