ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে সব বিষয়ে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে আল্লাহ সমক্ষমতা দান করেননি, সেই সব বিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য তলব করতে হবে।আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো কাছে সাহায্য তলব করা যাবে না।করলে সেটা শিরক হবে। যেমন, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।(সূরা ফাতেহা-০৫)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : كُنْتُ خَلْفَ النَّبيِّ ﷺ يَوماً فَقَالَ يَا غُلامُ إنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ : احْفَظِ اللهَ يَحْفَظْكَ احْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَألْتَ فَاسأَلِ الله وإِذَا اسْتَعَنتَ فَاسْتَعَن باللهِ وَاعْلَمْ : أنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبهُ اللهُ لَكَ وَإِن اجتَمَعُوا عَلَى أنْ يَضُرُّوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحفُ رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح
আমি একদা (সওয়ারীর উপর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে (বসে) ছিলাম। তিনি বললেন, ওহে কিশোর! আমি তোমাকে কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ) কথা (শিক্ষা দেব (তুমি সেগুলো স্মরণ রেখো)। তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) রক্ষণাবেক্ষণ কর (তাহলে) আল্লাহও তোমার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তুমি আল্লাহর (অধিকারসমূহ) স্মরণ রাখো, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাও। আর যখন তুমি সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি সমস্ত উম্মত তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (ভাগ্যলিপি) শুকিয়ে গেছে।
(তিরমিযী ২৫১৬)
আর যে সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ অন্যকেও সক্ষমতা দান করেছেন, সেইসব বিষয়ে আল্লাহ ব্যতিত অন্যর কাছেও সাহায্য চাওয়া যাবে।এতেকরে শিরক হবে না।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلٰى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللهُ عَلَيْهِ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، وَاللهُ فِى عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِى عَوْنِ أَخِيهِ
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিম হতে তার পার্থিব বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিও দূর করে দেবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তি হতে তার কিয়ামতের বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিকে দূরীভূত করবেন। যে (ঋণদাতা) ব্যক্তি কোন নিঃস্ব ঋণগ্রস্তকে অবকাশ (বা সহজ করে) দেবে, আল্লাহ তার জন্য ইহকাল ও পরকালে (সবকিছু) সহজ করে দেবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে নেবে, আল্লাহ তার দোষত্রুটিকে দুনিয়া ও আখেরাতে গোপন করে নেবেন। আর আল্লাহ তাঁর বান্দার সহায় থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে।(আহমাদ ৭৪২৭, মুসলিম ৭০২৮, আবূ দাঊদ ৪৯৪৮, তিরমিযী ১৪২৫, ইবনে মাজাহ ২২৫, সহীহুল জামে’ ৬৫৭৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বন্ধুবান্ধবের নিকট কোনো কিছু চাওয়া, খাবার খাওয়ানোর কথা বলা, এসব মূলত জায়েয।তবে এটা ব্যক্তিত্বর উপর আগাত নিয়ে আসবে।তাই বিরত থাকাই শ্রেয়। তাছাড়া চাপ প্রয়োগ করে বন্ধুর কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না।