আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
দয়া করে উত্তর দিবেন প্লিজ।।। বিষয়টি অতীব জরুরী।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহ।

কেউ একজন দ্বীনের বুঝ পাওয়ার আগে হারাম সম্পর্কে জড়িত ছিলো।।। একসময় দুইজনেই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে এবং দ্বীনে ফিরে আসার চেষ্টা শুরু করে।।। তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।।। এই চেষ্টা প্রায় দুই বছর ধরে অব্যাহত আছে।।। তারা বাকী সব দিক থেকে নিজেদের সংশোধন করে নিতে মোটামুটি পারলেও বারবার এই জায়গায় স্লিপ করতেছে।। মানে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বেশি সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে পারেনা।। এই দুই বছরের মধ্যে অনেকবার এমন হয়েছে এবং এখনও সেটা চলে।।। দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ ১৫ দিন অফ থাকে কিন্তু এরপর আবার এক দুই দিন কথা বলা হয়ে যাচ্ছে।।। প্রায় সবরকম উপায় যেমন ব্লক করা হতে শুরু করে সবকিছু চেষ্টা করেও নিজেদের বিরত রাখতে পারেনি।। ( তাদের দেখা হয়না কারণ দুইজন ভিন্ন জায়গায় থাকে) এক পর্যায়ে কিছুদিন আগে ছেলেটি তার বাসায় বিয়ের জন্য ও বলে কিন্তু মা বাবা রাজি হচ্ছেনা।। তারা উভয়ই শিক্ষার্থী।। তাদের পক্ষে এভাবে কথা না বলে থাকাটা সম্ভব হচ্ছেনা ( বিগত প্রায় দুই বছর ধরে চেষ্টা করেছে কিন্তু সর্বোচ্চ দুই তিন মাস সম্ভব হয়েছে কিন্তু এরপর আবার একদিন দুই দিন কথা বলে ফেলছে) তারা তিন বছরেরো বেশি সময় ধরে একসাথে পড়াশোনা করছে যার কারনে ওইদিন দিয়েও নির্ভরশীলতা বেশি একে অন্যের প্রতি। এই অবস্থায় তাদের করনীয় কি? তারা নিজেদেরকে এই পাপ থেকে মুক্ত রাখতে চায়।।।
ছেলেটির বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২০ বছর এবং মেয়েটির ১৯৷
(উল্লেখ্য : পরিবার এখন কোনোভাবেই বিয়ে মেনে নিবেনা,,, কারণ তারা স্টুডেন্ট।। বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।। পরিবারের কথা অনুযায়ী অপেক্ষা করতে গেলে ১ থেকে ৪ বছর অব্দি সময় লাগতে পারে,,, কিন্তু এতদিন এই হারাম থেকে নিজেদের মুক্ত রাখা অনেক কষ্টকর বা হয়ে উঠছেনা। কারণ তারা ২ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়েছে।)
এখন করনীয় কি হবে সেই সম্পর্কে জানালে খুবই উপকার হয়।।।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)


সম্মাণিত দ্বীনী বোন/বোন!
আপনি হয়তো হারাম সম্পর্ক পরিত্যাগ করবেন। নতুবা পরিবারকে বিয়ে সম্পর্কে অবগত করবেন।পরিবারকে বলবেন যে, তারা বিয়ে না করালে আপনি একাকি বিয়ে করে নিতে পারেন, সে সম্ভাবনাও রয়েছে। মাতাপিতাকে বুঝানোর জন্য আত্মীয় স্বজনকে অনুরোধ করবেন। যদি পরিবার কোনো মতেই সম্মতি না দেয়, তাহলে আত্মীয় স্বজনকে অবগত রেখে দুইজন সাক্ষীর সামনে বিয়ে করে নিতে পারবেন। সেই বিয়ে বিশুদ্ধ হবে। তবে পরিবারের সাথে দূরত্ব কাটিয়ে নেয়ার সর্বাত্বক চেষ্টা করতে হবে।

পরিবার বা আত্মীয় স্বজনকে না জানিয়ে বিয়ে করাটা সর্বদাই নিন্দনীয় হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...