আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

(১) ভার্সিটির জন্য installment এর টাকা ব্যাংক এ জমা দেওয়ার সময় কিছু টাকার মধ্যে ১ টা ১০০০ টাকার নোটে কয়েকটা ফুটা ছিল। কিছু ছোট ছোট ফুটা ও ১/২ টা বড় ফুটা হবে হয়তো। ফূটাগুলো আমি দেখার পরও আমি সেই টাকা টা ব্যাংক এর লোক কে দিয়েছি। আমি অবশ্য সেই ফুটা নোট টা সবার ১ম এ রেখেছি। কিন্তু আমি ব্যাংকের লোককে বলিনি যে, ১ টা নোট ফুটা ছিল। উনি টাকা গুলো ১ম মেশিনে গুনে পরে হাতে চেক করে আমাকে রিসিট দিয়েছে। উনি চেক করার সময় ১০০% গুরুত্ব দিয়ে টাকাগুলো চেক করেছে কিনা জানি না। এখন হাতে চেক করার সময় উনি ওই ১০০০ টাকার নোটটা যে ফুটা ছিল সেটা দেখেছে কিনা জানি না। কারন আমাকে কিছু বলেনি। আমিও বলিনি যে ১ টা টাকায় ফুটা ছিল। (কারন আমি ভাবলাম, আমি যদি বলি যে টাকাটায় ফুটা আছে, তাহলে টাকাটা যদি চলার মতোও হয়,বেশি একটা সমস্যাও না হয়, তাহলেও হয়তো উনি বলতে পারে টাকাটা পরিবর্তন করে দেন। কারন সবাই সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই চায়। এখন উনাকে বললে হয়তো কোন কারন দেখিয়ে নিবে না, অথবা অন্য একটা নোট চাবে। আমি সেধে যদি নিজের ভুল ধরিয়ে দেই, তাহলে তো ব্যাংকার লোকটা ভাবতে পারে যে, "যেহেতু উনি (মানে আমি) নিজে থেকেই বলেছে টাকাটায় ফুটা আছে তাহলে ভালো নোট দিলেই পারে বা উনার থেকে (মানে আমার থেকে) ভালো নোটটাই চাই।"
 কথা হচ্ছে টাকাটা তো আমাকে কোথাও না কোথাও চলাতে হবে। কোনো দোকানে দিলে তো সেই দোকানদার নাও চালাতে পারে বা চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে। কিন্তু ব্যাংক তো দোকানদারের চেয়ে কিছুটা হলেও সহজে চালাতে পারবে। আর টাকাটা এমন না যে খুব বেশি ছিড়া ছিল। হাল্কা কিছু ফুটা ছিল।

বিঃদ্রঃ কিন্তু আমাকে কেউ দিলে আমি যদি খেয়াল করতাম তাহলে সেই ব্যক্তির কাছে আরো টাকা থাকলে তাকে আমি চেঞ্জ করে দিতে বলতাম। কারন আমি একটু ছিড়া টাকা দেখলেই সেটা ব্যবহার করতে চাইনা। কারন কাউকে দিলে সে যদি না নেয়।

এখন এরকম হলে তো, আমি অন্য কোন সময়ও কাউকে বেশি টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবগুলো টাকা চেক করে দিতে হবে যে কোন টাকা হাল্কা ছিড়া বা ফুটাসহ দিলাম কিনা। এইভাবে তো একটু ছিড়া টাকা হলেই তাহলে কাউকে দিতে পারবো না। নিজের কাছে রেখে দিতে হবে।কারন মনে হবে কাউকে ধোকা দিলাম কিনা। পরে কম টাকার বিনিময়ে সেটা আবার পরিবর্তন করতে হবে (গুলিস্তান বা অন্য কোথাও থেকে)। এইভাবে তো তাহলে আমার আরো ক্ষতি।
আচ্ছা আমি কি একটু বেশি ভাবতেছি? এটা কি  শয়তানের দেওয়া ওয়াস ওয়াসা? এই কাজটা করার কারনে কি আমার গুনাহ হবে? এটা কি কারোর হক নষ্ট করা? নাকি শুধু মাত্র একটি পাপ কাজ? কারন আমি জানি যে কারোর হক নষ্ট হলে সেটা সেই ব্যক্তিই মাফ করতে পারে।

(২) ওই টাকা যদি সেই ব্যাংকার অন্য কাউকে দেয় তাহলেও কি সেই পাপের ভাগিদার আমি হবো? (কারন টাকাটা আমি ব্যাংকারকে দিয়েছি) কিন্তু আমিও তো এই টাকাটা অন্য জায়গা থেকে পেয়েছি।

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
যদি কাউকে কোনো ছেড়া নোট দেয়া হয়,সেক্ষেত্রে যদি উক্ত নোট এমন ছেড়া হয়ে থাকে যে, তা চলবে তবে এমন ছেড়া নোট সে জানলে নিতো না। তাহলে এমন নোট তাকে না বলে দেওয়াটা ধোঁকা ও প্রতারণা হবে।  
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}


حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، رَفَعَهُ إِلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا ـ أَوْ قَالَ حَتَّى يَتَفَرَّقَا ـ فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا، وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا ".
সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষন পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষন তাদের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত চলে যাবে।
(বুখারী ১৯৪৯)


قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন  
প্রশ্নের বিবরণ মতে ব্যাংকে উক্ত টাকা দেয়াতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
সমস্যা নেই,আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০২)
আপনি সেই পাপের ভাগিদার হবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
(১) আপনি বললেন উক্ত টাকা টা সে খেয়াল করলে যদি না নিতে চায় তাহলে ধোকা হবে। কিন্তু সে তো দেখলে এমনও বলতে পারতো যে অন্য একটা নোট দেন। এইটা একটু ছিড়া। কারন সবাই সবচেয়ে ভালো টাই চায়।

(২) আর উক্ত সেই টাকাটা যদি আমি একি ভাবে কোন দোকানদারকে দিতাম, তাহলে পাপ হতো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...