আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাবা মারা যাবার পর ১০০ শতক জমি (ধরে নেই) আছে। ঋণ শোধ করার পর ১০ লক্ষ টাকা আছে।
নিম্নে আমার পরিবার এর বিবরণ দিলামঃ

* বাবা (আমার দাদা) আগেই মারা গেছেন।
১। মা (আমার দাদি) - ১ জন । (কিন্তু আমার দাদি বাবা মারা যাওয়ার আগে থেকেই মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না। অর্থাৎ তার ব্রেন স্টোক করেছিল)
২। স্ত্রী - ১ জন (আমার মা)

৩। কন্যা - ১ জন (আমার বোন)

৪। পুত্র - ১ জন (আমি)
৫। ভাই - ৩ জন (আমার চাচারা)

৬। বোন - ৫ জন (আমার ফুফু)
এই সম্পত্তি কিভাবে শরিয়ত এর নিয়মে কে কতটুকু পাবে?

* বাবা মারা যাওয়ার পর আমার দাদি মারা যান। সেক্ষেত্রে আমি দাদির সম্পত্তির কোন ভাগ পাব না?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা নিসা ১১ নং আয়াত) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার ঋন পরিশোধের পর তার সমূদয় সম্পদ হতে আপনার বাবার মা (আপনার দাদি) ছয় ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।

আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।

সন্তান হিসেবে আপনি ও আপনার বোন আসাবা হিসেবে এক ছেলে সমান দুই মেয়ে হিসেবে সম্পদ পাবেন।

★আপনার বাবার ভাই (আপনার ৩ চাচা) ও আপনার বাবার বোন (আপনার ৫ ফুফু) বঞ্চিত হবে।
তারা কিছুই পাবেনা।

সেই হিসেবে ঋন শোধের পর ১০০ শতক জমি ও ১০ লক্ষ টাকা শরীয়ত অনুপাতে বন্টন করা হলোঃ-

(০১) আপনার বাবার মা (আপনার দাদি) ছয় ভাগের এক ভাগ সম্পদ হিসেবে ১৬ শতক ৭০০ লিংক জমি পাবে,এবং ১৬ হাজার ৭০০ টাকা পাবে।

(০২) আপনার বাবার স্ত্রী (আপনার মা) আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ হিসেবে ১২ শতক ৫০০ লিংক জমি পাবে,এবং ১২ হাজার ৫০০ টাকা পাবে।

(০৩) মাইয়্যিতের ছেলে হিসেবে আপনি ৪৭ শতক ২০ লিংক জমি পাবেন,এবং ৪৭ হাজার ২০০ টাকা পাবেন।

(০৪) মাইয়্যিতের মেয়ে (আপনার বোন) ২৩ শতক ৬০ লিংক জমি পাবে,এবং ২৩ হাজার ৬০০ টাকা পাবে।

(উল্লেখ্য এখানে ১০০০ লিংকে এক শতক ধরে হিসেব করা হয়েছে।)

★আপনার বাবার ভাই (আপনার ৩ চাচা) ও আপনার বাবার বোন (আপনার ৫ ফুফু) বঞ্চিত হবে।
তারা কিছুই পাবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পায়না।
সেই হিসেবে আপনার যেহেতু চাচারা জীবিত,তাই আপনার বাবা মারা যাওয়ার পর আপনার দাদি মারা যাওয়ায় আপনি নাতী হিসেবে আপনার দাদীর সম্পদ হতে কোনো অংশ পাবেননা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 338 views
...