জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَيْكُمْ بِالدُّلْجَةِ فَإِنَّ الْأَرْضَ تُطوَى بالليلِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রাতে সফরে বের হও। কেননা রাতের বেলায় জমিন সংকুচিত হয়।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ২৫৭১, সহীহাহ্ ৬৮১, সহীহ আল জামি‘ ৪০৬৪, সহীহ আত্ তারগীব ৩১২২, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৬৩০।)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে ‘‘তোমরা রাতে ভ্রমণ কর, কেননা রাতে জমিনকে সংকুচিত করা হয়’’। ‘আল্লামা মুযহির (রহ) বলেনঃ এর অর্থ হলো তোমরা শুধু দিনে ভ্রমণ করেই তুষ্ট থেকো না বরং রাত্রেও সফর করবে। কেননা রাত্রের সফর সহজ। কারণ ভ্রমণকারী ধারণা করে যে, সে অল্প রাস্তা অতিক্রম করেছে, প্রকৃতপক্ষে সে অল্প সময়ে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৬৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ক্ষতির ভয়ে দিনে সফর করা ও দিনে সফর করা ভাল মনে করাতে কোনো সমস্যা নেই।
রাতে সফর করা কোনো ওয়াজিব বা আবশ্যক কোনী বিধান নয়।
স্রেফ জায়েজ বিষয়।
আর রাসুলুল্লাহ সাঃ ও খোলাফায়ে রাশেদার যামানার নারী পুরুষ সকলের জন্য রাতের সফর যেমন নিরাপদ ছিলো,বর্তমান এতোটা নিরাপদ সফরের নিশ্চয়তা নেই।
(০২)
এখানে আপনি হাদীসকে তো অস্বীকার করছেননা।
আর হাদীসকে নিয়ে ঠাট্রাও করছেননা,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
না,এতে কোনো গুনাহ হবেনা।
কেউ এতে কাফেরও হয়ে যাবেনা।
(০৪)
হ্যাঁ এতেও নামাজ হিয়ে যাবে।
তবে যদি এতে হাটু থেকে নিয়ে টাখনু পর্যন্ত স্থানের মধ্য হতে এক চতুর্থাংশ এক তাসবিহ সমপরিমাণ খোলা থাকে,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
(০৫)
না,এতে অযু ভেঙ্গে যায়না।
(০৬)
এতে অযু ভেঙ্গে যায়না।
এ অবস্থায় নামাজ আদায় করলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
(০৭)
না,এতে সমস্যা নেই।