বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ * لا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ إِنْ نَعْفُ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْكُمْ نُعَذِّبْ طَائِفَةَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا مُجْرِمِينَ
আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং কৌতুক করছিলাম। আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে?
ছলনা কর না, তোমরা যে কাফের হয়ে গেছ ঈমান প্রকাশ করার পর। তোমাদের মধ্যে কোন কোন লোককে যদি আমি ক্ষমা করে দেইও, তবে অবশ্য কিছু লোককে আযাবও দেব। কারণ, তারা ছিল গোনাহগার।(সূরা তাওবাহ-৬৫-৬৬)
হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত
عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال: كانت أم ولد لرجل كان له منها ابنان مثل اللؤلؤتين، وكانت تشتم النبي صلى الله عليه وسلم فينهاها ولا تنتهي ويزجرها ولا تنزجر، فلما كان ذات ليلة ذكرت النبي صلى الله عليه وسلم فما صبر أن قام إلى مغول فوضعها في بطنها ثم اتكأ عليها حتى أنفذها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أشهد أن دمها هدر. قال الحاكم: هذا حديث صحيح الإسناد على شرط مسلم ولم يخرجاه.
মর্মার্থ-
একটি বাদী যার দু'টি সন্তান ছিলো।সে রাসূলুল্লাহ সাঃ কে গালি দিতো।তার মুনিব তাকে অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করার পরও গালি দিতে থাকল।অবশেষে একদিন ঐ বাদিটি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে গালী দিচ্ছিলো।এমতাবস্থায় ঐ মুনিব বাদীটিতে হত্যা করল।রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে সংবাদ পৌছলে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন।ঐ বাদীর রক্ত মূল্যহীন। তথা হত্যা করা নাজায়েয ও হারাম হয়নি।
(মুস্তাদরাকে হাকীম)
উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ কে অপমাণ ও অবমাননা করলে তাকে হত্যা করা বৈধ।ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,বৈধ হলেও নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে হত্যা করা মাকরুহ।বিস্তারিত জানুন-২৬৮৯
ফুকাহায়ে কেরাম উল্লেখ করেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ কে যে ব্যক্তি গালী দিবে,তাকে হত্যা করা ওয়াজিব।তবে এ দায়িত্ব সরকারের।এ আইনকে নিজ হাতে তুলে নেয়া যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো সামনে যদি কেউ রাসূলুল্লাহ সাঃ কে গালী দেয়,তাহলে তাকে হত্যা করা বা গায়ে হাত তুলা ব্যতীত রাগ ও ঘৃণার যত রকম পদ্ধতি হতে পারে,সবগুলোই করতে হবে।ব্লাসফেমি আইন তথা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে অবমাননার আইন মৃত্যুদণ্ড। এই আইন প্রনয়ণের জন্য আন্দোলন করতে হবে।যতক্ষণ না আইন হচ্ছে,ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে বসা যাবে না।যখন আইন হয়ে যাবে,তখন এ ফরয দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলমানের ঘাড় থেকে নামবে।সুতরাং যখন আইন হয়ে যাবে,এবং কারো পাশে বসে কেউ রাসূলুল্লাহ সাঃ কে গালী দিবে,তখন সাথে সাথেই পুলিশকে দলীল প্রমাণসহ ইনফর্ম করতে হবে।এবং করাটা ওয়াজিব।
মোটকথাঃ নিজ হাতে আইন তুলে নেয়া যাবে না।তবে ঐ গালী দাতাকে সর্বোচ্ছ ঘৃণা করতে হবে।এবং তার ফাসী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম সহ যাবতীয় সহায়ক সকল প্রকার চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।নতুবা কামিল ঈমানদ্বার হওয়া যাবে না।