আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  সম্মানিত মুফতি সাহেব, তাকবিরে তাশরিকের নিম্নোক্ত ইতিহাস কি সঠিক? জাযাকুমুল্লাহু খাইর...

"আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে তাঁর জন্য কুরবানি করার নির্দেশ প্রদান করেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর নির্দেশ কথা পুত্র ইসমাইলকে অবহিত করলেন। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম পিতার মুখে আল্লাহর নির্দেশের কথা শুনে কুরবানি হতে রাজি হয়ে গেলেন।হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন হজরত ইসমাইলকে কুরবানি করতে যাবেন, ঠিক তখনই হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে রওয়ানা হন।তাঁর সংশয় হচ্ছিল পৃথিবীতে পদার্পণের পূর্বেই হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম জবেহ কার্য সম্পাদন হয়ে যায় কিনা। তাই হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম আকাশ থেকেই উচ্চ স্বরে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে থাকেন-اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَرউচ্চারণ : আল্লাহু আকবার; আল্লাহু আকবারহজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পান যে, হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে কুরবানির দেয়ার জন্য। তা দেখে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাওহিদের কালিমা ও তাঁর রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে বলে উঠলেন-لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ  اَللهُ اَكْبَرউচ্চারণ : ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।’পিতার মুখে তাওহিদের এ অমূল্যবাণী শুনতে পেয়ে হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম  আল্লাহর মহাত্ম, মর্যাদা ও শান শওকতের পাশাপাশি তার প্রশংসা করে বলেন-اَللهُ اَكْبَر وَ لِلهِ الْحَمْدউচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’তাৎপর্য ও ফজিলতমহান আল্লাহ তাআলার প্রধান ফেরেশতা, একজন নবি ও তাঁর একজন ভবিষ্যৎ নবিসহ এ তিন মহান ব্যক্তিত্বের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা, তাওহিদের ঘোষণা এবং প্রশংসামূলক বাক্যগুলোর আমল আল্লাহ তাআলার দরবারে এত বেশি পছন্দ হলো যে, তিনি তা মুসলিম উম্মাহর জন্য আমল হিসেবে কবুল করলেন।কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ পবিত্র জিলহজ মাসের ৯ তারিখ থেকে ১৩ জিলহজ আসর নামাজের সময় পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর (মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর) পাঠ করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন।"

1 Answer

0 votes
by (574,590 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
السنن الکبری للبیہقی :
"عن عبد الرحمن بن سابط عن جابر : قال كان النبى صلى الله عليه وسلم يكبر يوم عرفة صلاة الغداة إلى صلاة العصر آخر أيام التشريق."(3/315)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ আরাফার দিন ফজরের নামাজের পর হতে তাকবির বলতেন,আইয়্যামে তাশরিকের আছরের নামাজ পর্যন্ত।

سنن الدارقطنی :
"عن جابر عن أبي الطفيل عن علي وعمار أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يجهر في المكتوبات بـ {بسم الله الرحمن الرحيم}، وكان يقنت في الفجر، وكان يكبر يوم عرفة صلاة الغداة ويقطعها صلاة العصر آخر أيام التشريق". (2/389)
সারমর্মঃ
,,, রাসুলুল্লাহ সাঃ ফজর নামাজে কুনুত পড়তেন,রাসুলুল্লাহ সাঃ আরাফার দিন ফজরের নামাজের পর হতে তাকবির বলতেন, এবং এই তাকরির বলা শেষ করতেন আইয়্যামে তাশরিকের আছরের নামাযে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বুখারি শরিফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, যখন হজরত ইবরাহিম (আ.) স্বীয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি রাখলেন, এদিকে আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাঈল (আ.) আসমান থেকে একটি দুম্বা নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করছিলেন। 
কিন্তু জিবরাঈল (আ.)-এর আশঙ্কা ছিল, তিনি দুনিয়াতে পৌঁছার আগেই ইবরাহিম (আ.) জবাইপর্ব সমাপ্ত করে বসবেন। ফলে তিনি আসমান থেকে উঁচু আওয়াজে বলে উঠলেন : ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার।’ ইবরাহিম (আ.) আওয়াজ শুনে আসমানের দিকে নজর ফেরাতেই দেখতে পেলেন জিবরাঈল (আ.) একটি দুম্বা নিয়ে আগমন করছেন। ফলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।’ পিতার কণ্ঠে এই কালিমা শুনতেই ইসমাঈল (আ.) উচ্চারণ করলেন : ‘আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ একজন ফেরেশতা আর দুজন প্রিয় নবীর এ বাক্যমালা আল্লাহর খুব পছন্দ হয়। তাই কিয়ামত পর্যন্ত এই বাক্যমালা আইয়ামে তাশরিকে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পড়াকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/১৭৮, ইনায়া শরহুল হিদায়া : ১/৪৬৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত ঘটনা সঠিক বলেই প্রমাণিত হলো।
তবে এই ঘটনা কুরআন হাদীসের কোথাও খুজে পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
জাযাকাল্লাহ উস্তাদ। তবে একটা বিষয় পুরোপুরি ক্লিয়ার হলো না, কুরআন হাদিসে না থাকলে উক্ত ঘটনার বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হলো কীভাবে! এটি কি তাহলে কোনো আছার বা ইসরায়েলি রেওয়ায়েত থেকে সাবিত হচ্ছে? 
(জানার জন্য প্রশ্ন করা)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...