আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
১.হুজুর তালাকের মিথ্যা সীকারোক্তিতে সপস্ট বাক্য বলতে কি বুঝায়?

২.হুজুর তালাক সম্পর্কে কেউ না জানার কারনে স্ত্রীকে একটা কথা বলার পর, তালাক সম্পর্কে জানতে পারে।তারপর বিভিন্ন ভিডিও, ওয়েবসাইট দেখার পর যদি  মনে করে যে, রাজয়ী তালাক হয়েছে । সে ভিডিও তে দেখেছিল যে রাজয়ি তালাক হলে স্ত্রীকে ফিরে নিতে হয়। ফিরে নেওয়ার পদ্ধতি তোমাকে ফিরে নিলাম বলতে হবে বা সামি স্ত্রীর মত বসবাস করলেই হবে।   সে যদি মনে করে যে রাজয়ি তা*ক হয়েছে। এজন্য স্ত্রীকে বলে যে তোমাকে ফিরে নিলাম।(যদিও তারা একসাথে বসবাস করছিল, কিন্তু তা*ক হয়েছে কিনা এ সন্দেহের কারনে সামি স্ত্রীর সাথে সহবাস করেনি।কিন্তু পরে জানা গেল যে তা*ক হয় নি)।এখেত্রে যেহেতু স্ত্রীকে বলেছে যে তোমাকে ফিরে নিলাম এই কথার দারা কি তা*কের মিথ্যা সীকারোক্তি বোঝায়?(যেহেতু আমার বোঝার ভুলের কারনে বলছি)

৩.উপরোক্ত ঘটনার পর আরও অনেক ঘটনা হয়। আমার ওয়াসওয়াসার কারনে। আরেকটা ঘটনার পর আমি মনে করছি যে আমার তিন তা** হয়ে গেছে মনে হয়।এজন্য আমি বিভিন্ন ভিডিও দেখি।তারপর অনেক হুজুর বলছে যে তিন তা*ক দিলে এক  তা*ক হয়।এজন্য আমি  সন্দেহের কারনে  আমার স্ত্রী কে আবার বলি যে তোমাকে ফিরে নিলাম। তারপর বলি যে আমাদের মধ্যে  তো কিছু হয়নি।( কারন হুজুর থেকে জান্তে পারি যে কোন কিছুই হয় নি)। শুধু ওয়াসওয়াসার কারনে সন্দেহের কারনে এরকম বলেছিলাম।এটা কি তা*কের মিথ্যা সীকারোক্ত।
৪.হুজুর আমি যে আপনাকে তা*ক সমন্ধে প্রশ্ন করলাম এর দারা কি তা*কের কোন সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (549,840 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,  
হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।   
    
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এখানে উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীকে তালাক না দেয়া সত্ত্বেও অন্যের সামনে স্পষ্ট বাক্যে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলছে যে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি।

অথছ আদৌ সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়নি।
এক্ষেত্রে তালাক পতিত হওয়ার ফায়সালাই আদালত দিবে।

(০২)
না,এ কথার দ্বারা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বুঝায়না।

(০৩)
না,এ কথার দ্বারা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বুঝায়না।

(০৪)
না,এতে তালাক সংক্রান্ত আপনার কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...