ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَذْبَحُوا إِلَّا مُسِنَّةً، إِلَّا أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ، فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضَّأْنِ
জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মুসিন্নাহ্ (দুধ দাঁত পড়ে গেছে এমন পশু) ছাড়া কুরবানী করবে না। তবে এটা তোমাদের জন্য কষ্টকর মনে হলে তোমরা ছ’মাসের মেষ-শাবক কুরবানী করতে পার। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৯৬৩]
গরু মহিষের দাঁত পড়ে সাধারণত দুই বছর হলে। এর আগে পড়ে না। তাই এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল, গরু মহিষ হলে তা দুই বছর হতে হবে।
গরু ও মহিষ দু’বছরের কম হলে তা দিয়ে কুরবানী করা শুদ্ধ হবে না।
واما سنه: فلا يجوز شيئ مما ذكرنا من الإبل والبقر والغنم من الأضحية إلا الثنى من كل جنس…… وأما معانى هذه الأسماء فقد ذكر القدورى أن الفقهاء قالوا الجذع من الغنم ابن ستة أشهر والثنى منه ابن سنة (بدائع الصنائع-4/206)
সারমর্মঃ
গরু,,,,,, এর দুই বছর না হলে কুরবানী জায়েজ হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত গরু দিয়ে কুরবানী আদায় হবেনা।
এভাবে ধোকা দিয়ে বিক্রয় করা হলে বিক্রেতার উপর ধোকা দেয়ার গুনাহ হবে।
তবে সেই টাকাকে হারাম বলা যাবেনা। সেই বিক্রিত টাকা সংসারে বিভিন্ন কাজে খরচ করে থাকলে সমস্যা নেই।
(০২)
উক্ত গোশত নেয়া জায়েজ আছে।
(লক্ষনীয় বিষয় হলো গরিবদের অংশ হতে সমাজে কিছু দিয়ে সেখান হতে গোশত নিয়ে আসা যদিও জায়েজ,তবে এটি কাম্য নয়। এটির পুরোটাই গরিবদের মাঝে বন্টন করা সবচেয়ে ভালো।)
তবে উক্ত গোশতের মধ্যে কাহারো মান্নতের পশু থাকা যাবেনা।
যদি এখানে মান্নতের পশুর গোশত থাকে,তাহলে তাহা ধনীর জন্য নেয়া জায়েজ নেই।
(০৩)
তাহলে নিজের কুরবানীর থেকে সমাজে উক্ত পদ্ধতির জন্য একটা অংশ দিলে আপনার কুরবানির কোন ক্ষতি হবেনা।
যার গুনাহ তারই হবে,আপনার নয়।