আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
edited by
আমাদের দেশে কাবিন নামায় লেখা থাকে যে সামি কি স্ত্রিকে......  প্রদানের খমতা দিয়েছে দিলে কি কি শরতে

কাবিন নামা অনুযায়ি  স্ত্রি  সামিকে ((())) দেওয়ার অধিকার পেল
কাবিন অনুযায়ি স্ত্রি নিজে নিজকে ((())) দেওয়ার অধিকার ত পেল না,  এখন এই অবস্থায় স্ত্রি যদি নিজে নিজেকে ((())) দেয় তাহলে কি ((()) হবে

২)) স্ত্রি সামিকে জিজ্ঞাসা করায় সামি বলেছে,  সামি স্ত্রিকে সামিকে ((())) দেওয়ার অধিকার দিয়েছে, স্ত্রি নিজেকে দিতে পারবে এমন অধিকার দেয় নাই

এখন সেই স্ত্রি যদি নিজেই নিজেকে দেয় তাহলে কি হবে

৩)  সামি যদি স্ত্রি কে  বলে যে, কাল সকালে যদি কাগজ পাও যে তুমি (((()))) তাইলে কি ভাল হবে বিসয়টা
সামির এমন কথায় কি সমস্যা হবে

৪) স্ত্রি যদি সামিকে.......  লিখে মেসেজ দেয় তাহলে কি সমস্যা হবে

৫))) ওয়াস  ওয়াসার কারনে কোন স্ত্রি যদি মনে মনে বলছে নাকি শব্দ করে বলছে সেটা বুজার জন্য যদি,  সুধু শব্দ করে ........  শব্দটা বলে ফেলে তাহলে কি সমস্যা হবে,  সুধু......  শব্দ টাই বলছে সাথে আর কিছু বলে নাই

6) স্ত্রি একদিন সামিকে বলে যে স্ত্রি সামিকে  (((())) দিতে পারে না, তখন সামি যে স্ত্রি ((())) দিতে পারবে,  কারন স্ত্রি কে সে ((())) দেওয়ার অধিকার দিয়েছে কাবিন নামায়, কিন্তু এই কাবিন নামা বিয়ের ইজাব কবুল এর আগেই লিখা হয়েছিল,  তাহলে ওই স্ত্রি কি অধিকার পাবে????
৭) (((স্ত্রি সামিকে জিজ্ঞাসা করায় সামি বলেছে,  স্ত্রি দিতে পারবে কারন কাবিন নামায় অধিকার দেওয়া আছে,))) কাবিন নামা আগে লেখায় স্ত্রি যদি অধিকার না পায় তাহলে সামির এখনকার এমন কথায় কি স্ত্রি এখন অধিকার পেয়ে যাবে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
 
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]
 
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অধিকার পাওয়ার পর স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক দিলে তালাক হবে।

(০২)
এখন তালাকের ক্ষমতা পাওয়ার দরুন যদি স্ত্রী নিজেই নিজেকে তালাক দেয় তাহলে তালাক হবে।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
সমস্যা হবেনা।
তবে মেসেজে যদি লেখে যে "আমি নিজেকে নিজে তালাক দিলাম"
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

(০৫)
শুধু ঐ শব্দ বলায় সমস্যা হবেনা।

(০৬)
না,এতে ঐ স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...