আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম আপু।
আমার না কুফরি শির্ক নিয়ে ওয়াস ওয়াসা আসে শুধু।

আমার দাদু আমাদের সাথে বেশ বিরক্তিকর আচরন করে পরে আম্মুকে বলি,, আম্মু বলে যে আগে আমার সাথে করসে এখন আমার পোলাপান এর সাথে করে আর সে আগে কি কি করসে আগে সব বলা শুরু করসে। জানে আমি গিবত পছন্দ করব না তাই বলে কি,, জিবিত থাকতে গিবত করন যায় হেয় ত বাইচা আসে গিবত করন যাইব মইরা গেলে যাইব না।আমি জানামু না তগ উনি কি কি করসে,,
তার এই কথায় ক কুফরি কিছু হইসে? আমরা ত জানি গিবত কবিরা গুনাহ।
by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,,
আমি ইডিট করার অপশন টা সব সময় খুজে পাই না এইটার উত্তর দিয়েন প্লিজ।
আমি বুঝানোর সুবিধার্থে এমনে একটু বলি,,আমার দাদু ৭০+ এইজ কয়েকবার স্ট্রক করসে আলহামদুলিল্লাহ কিছু হয় নি।আমাদের সাথে তার বিহেইব একদম না ইন্সাফি।অথচ তার অন্য নাতিদের বেশ ভালো ভাবে কথা বলে কিন্তু তারা তাকে জিজ্ঞেস করেও দেখে না উলটা দিকে আমরা আমার আব্বু সব দিক থেকেই তাকে করে অসুস্থ হলে ইত্যাদি ইভেন তার অন্য ছেলেমেয়েদের ও আব্বু অনেক হেল্প করে কিন্তু তাও তার মন পায় না।আমাদের সাথে খারাপ আচরন করে।

তো আজ আর একটা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল ভবিষ্যৎ সুচক পরে দাদু আব্বুরে বলতেসে যে সাম্নের বছর আশা করছি ইন শা আল্লাহ।পরে এইটা আমার বোন শুনসে পরে ঘরে আম্মুরে বলতেসে যে এইরকম বলসে আর ও বলতেসে যে সামনের বছর বাচে কিনা আর এই কথা বলতেসে দাদু।পরে আম্মু হেসে হেসে বলে যে আল্লাহ হেরে ঠিক ই বাচায়া রাখব।এই কথা হেসে বলায় আমার কেমন যেন লাগতেসে।আর এর আগেও খালি আম্মু উনার দুঃখ প্রকাশ করে খালি বলে যে উনি এত অন্যায় করে আর আল্লাহ উনারে এখনও বাচায় রাখসে। 
আমার এইখানে কুফুরির ভয় হচ্ছে? এই রকম কিছু কি হইসে হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

জেনে শুনে হারামকে হালাল বলা কুফরী।
এটি মুশরিকদের কাজ।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-

‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।

অন্যত্র তিনি বলেন,

قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-

‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি কোনো হারাম কে অজ্ঞতাবসত হালাল মনে করে উক্ত কাজকে করে নেয়,তাহলে এই কাজ করা তার জন্য হারাম হয়েছে,কিন্তু সে কাফির হচ্ছে না।ইলম শিক্ষা ফরয ছিলো, সে কেন শিখেনি,এর জন্য তার গোনাহ হবে।

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে কুফরি হবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...