আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
সাধারণত ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার কারো সাথে মিশতে ভালো লাগে না। আত্নীয় দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কারী ব্যাক্তি তো জান্নাতে যাবে না। তো তাদের সাথে শুধু ঈদ বা বিশেষ কোন সময় দেখা হয় তো সালাম এবং ২-১ টা কথা বলে আর কিছু বলি না। দূরত্ব বজায় রাখি। বেশি কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আমার কি এই অভ্যাস টি অপছন্দনীয়? এটা কি পরিবর্তন করা দরকার?

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ مُعَاوِيَةَ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي مُزَرِّدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ - حَدَّثَنِي عَمِّي أَبُو الْحُبَابِ، سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهُمْ قَامَتِ الرَّحِمُ فَقَالَتْ هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ مِنَ الْقَطِيعَةِ . قَالَ نَعَمْ أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ قَالَتْ بَلَى . قَالَ فَذَاكَ لَكِ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ( فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ * أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا) " .

কুতায়বা ইবনু সাঈদ ইবনু জামীল ইবনু তারীফ ইবনু আবদুল্লাহ সাকাফী ও মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন মাখলুক সৃষ্টি করে তা সমাপ্ত করলেন, তখন “রেহম” (আত্মীয়তা ও রক্ত সম্বন্ধ) দাঁড়িয়ে বলল, এ হচ্ছে আত্নীয়তার সম্পর্ক বিছিন্ন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনাকারীর স্থান। তিনি (আল্লাহর রাসুল) বললেনঃ হ্যাঁ। তুমি কি এতে তুষ্ট নও যে, যে তোমাকে সংযুক্ত রাখবে আমিও তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখব, আর যে তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, আমিও তাকে আলাদা করে দেব? তখন সে বলল, হ্যাঁ।

তিনি বললেন, তোমার জন্য তাই হবে। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি তোমরা চাও তাহলে তিলাওয়াত করতে পার, "তোমরা কি অস্বীকার করতে পারবে যে, তাদের উপর দায়িত্ব প্রাপ্ত করা হলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ফাসা’দ সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্নীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেবে, এরাই তারা যাদের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। এরপর তিনি তাদের বধির করে দিয়েছেন। ও তাদের চোখগুলো দৃষ্টিহীন করে দিয়েছেন। তারা কি কুরআন সম্পর্কে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না, না তাদের অন্তর, তালাবদ্ধ?"
(মুসলিম ৬২৮৭)

حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَالْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، وَفِطْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، - قَالَ سُفْيَانُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ سُلَيْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم وَرَفَعَهُ فِطْرٌ وَالْحَسَنُ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ الْوَاصِلُ بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِلَ هُوَ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا " . -

। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী ঐ ব্যক্তি নয়, যে বরাবর ব্যবহার করে। বরং প্রকৃত আত্মীয়তা রক্ষাকারী ঐ ব্যক্তি, যার আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করলেও সে তা পুনঃস্থাপন করে।
বুখারী (অধ্যায় : আদব, হাঃ ৫৯৯১), তিরমিযী (অধ্যায় : সদ্ব্যবহার, হাঃ ১৯০৮,আবু দাউদ ১৬৯৭)।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইন্ট্রোভার্ট হওয়ায় কোনো মাহরাম আত্মীয়ের সাথে কম মিশলে এতে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্নের গুনাহ হবেনা।

অপ্রয়োজনীয় কথা না হলে চুপচাপ থাকা দোষনীয় নয়।
তবে যদি এমনিতেই মুখ গোমরা রেখে কথা বলে বা হাস্যাচ্ছলে কথা না বলে,তাহলে এটি অপছন্দনীয়।
কেননা হাস্যাচ্ছল চেহারায় আরেক মুমিনের দিকে নজর দেওয়াও সদকাহ।

(উল্লেখ্য যে এখানে গায়রে মাহরাম আত্মীয় উদ্দেশ্য  নয়।
তাদের সাথে এভাবে কথা বলা জায়েজ নয়।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...