আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
318 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম,

আমি কেনায়া শব্দের ব্যাপারে জানতাম না, আমি ভাবতাম তালাক না বললে তালাক হয় না। এজন্য আমি তালাক শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম।

আমি ভাবতাম ডিভোর্স আর তালাক আলাদা। একবার অনেক রাগারাগির পর আমার বউকে বলি তোমাকে আমি সকালে এসে ডিভোর্স দিবো। আমি ইচ্ছা করেই তালাক শব্দ এড়িয়ে গেছি। ভেবেছি ডিভোর্স তো বিদেশি শব্দ।

আমি এই কথা বলার সময় বাস এ ছিলাম। সকাল হয় নি তখনো।

বাসায় পৌছতে সকাল হবে ,তাই রাগের মাথায় বলেছিলাম সকাল এ এসে ডিভোর্স দেবো, সম্পর্ক রাখবো না, ছেড়ে দেবো ইত্যাদি, ( সকালের উদ্দ্যেশ্য , ভবিষ্যতের কথা ) ওর গার্জিয়ান ও ডাকতে বলেছিলাম কথার এক পর্যায়ে। কিন্তু যতদূর মনে পড়ে, অতীত বাক্য বলিনাই। মন থেকে বলি নাই। রাগে ভয় দেখাতে বলেছি যত্দুর মনে পড়ে। তখনো আমি গাড়িতে, বাড়ি যাচ্ছিলাম মাকে দেখার জন্য, আর ও ছিলো ওদের বাড়িতে। তাই বলেছিলাম আগে সকালে তোমাদের বাড়ি পৌঁছে তোমাকে কোর্টে ডিভোর্স দিবো।

ডিভোর্স দেওয়ার ইচ্ছা আদৌ ছিলো কিনা মনে সায় দিচ্ছে না।

আমার বউ বলেছে যা করবা কইরো, তবে আগে মাথা ঠান্ডা করে বাসায় আসো, তোমাদের বাড়িতে আমাকে নাও , তারপর সবার সাথে কথা বলো। ও নিজে থেকে ডিভোর্স চায় নি।

এভাবে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলায় কি তালাকের মজলিস হয়েছে কিনা ( সকাল হতে কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল) । যদি তালাকের মজলিস হয় এটা, তাহলে এরকম মজলিসে কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় কিনা।

এর মধ্যে অনেকবার কথা হয়েছে ফোন, কোন কেনায়া শব্দ বলেছিলাম কিনা মনে পড়ছে না। ওই দিনের কল রেকর্ড এর জন্য সিম কোম্পানী তে কল করেছিলাম, ওরা বললো নিকটস্থ থানায় জানতে, এতদূর এগোনো কি ঠিক হবে?
হয়তো বলেছি আমাকে আর কল দিবা না অথবা সম্পর্ক রাখবো না। এগুলো বলেছি কিনা মনে নাই। শুধু মনে ওয়াসঅসা আসছে যে মনে হয় এই বলেছি।

সব কথা হয়েছে ফোনে, বাড়ি যাবার আগেই ফোনেই সব মিটমাট হয়ে গেছিলো।
সকালে বাড়ি যেয়ে মাফ চেয়ে নিয়েছি। এর পর আর এমন হয় নাই।

2 মাস আগের কথা , তাই মনে করতে পারছি না। 100 ভাগ শিওর না হয়ে কোন ডিসিশন না আসতে পেরে মন ভারী হয়ে আছে।

বিষয়টা আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে।

আমার কি করনীয় আমাকে জানাবেন।
ধন্যবাদ।

1 Answer

+1 vote
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল,
মুবাইল কল দ্বারা মজলিস হয় না।সুতরাং আপনি যে ডিভোর্স শব্দ বলেছেন, এই কথা যেহেতু মুবাইল কলে বলেছেন, তাই মজলিস হবে না।
দ্বিতীয় কথা হল,
পরবর্তীতে আপনি কেনায় শব্দ বলেছিলেন কি না? সে সম্পর্কেও আপনি নিশ্চিত নন, তাই সর্বদিক বিবেচনায় তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (3 points)
ধন্যবাদ শায়েখ,
আমার মনের পীড়া অনেক কমে গেলো।
আপনার সাথে 2 মিনিট ফোনে কথা বলা যাবে ?
আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন হয়ত। তারপর ও 2 মিনিট কথা বলতে পারলে ভালো লাগতো।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...