বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরবানীর জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সিস্টেমিক সমস্যার জন্য টাকা ব্যাংক একাউন্টে আসতে দেরি হচ্ছে, এ অবস্থায় কারো কাছ থেকে কুরবানী দেয়ার টাকাটা ধার এনে কুরবানীর পশু কেনা যাবে। সেই পশু দিয়ে আল্লাহর নামে কুরবানী করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রাসঙ্গিক ক্রমে বলতে চাই,
কুরবানির সামর্থ্য থাকুক বা নাই থাকুক, কুরবানির পূর্ব পর্যন্ত নক চুল কর্তন থেকে বিরত থাকা সুন্নাহ।
আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ، فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصُّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
অর্থ : নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে কুরবানীর দিবসে ঈদ (পালনের) আদেশ করা হয়েছে। যা আল্লাহ এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এক সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানিহা থাকে (অর্থাৎ অন্যের থেকে নেওয়া দুগ্ধ দানকারী উটনী) আমি কি তা কুরবানী করতে পারি? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, তবে তুমি চুল, নখ ও মোঁচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গণ্য হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৩৬৫)