আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
edited by
১)পিতা কিছু খাবার বাহির থেকে আনলে সন্তান্দের জন্য।এক সন্তান যদি ভাগ করার আগেই খেয়ে ফেলে তাহলে কি অন্যর হক নষ্ট হবে?অথবা ভাগ করতে বললে নিজে একটু বেশি খেলে কি হক নষ্ট হবে? বা কিছু টাকা দিয়ে বলে ভাই বোনেরা কিছু খাইস আর তাদেরকে টাকা না দিলে বা কিছু আনলে নিজে বেশি রাখলে,বা ভাত খাওয়ার সময় তরকারি বেশি নিলে।এজন্য  কি আখিরাতে তাদেরকে নিজের আমল দিতে হবে?

২)সব সাহাবীরা কি আমাদের আদর্শ?যেমন কিছু সাহাবী গণিমতের মাল খেয়ানত,আত্মহত্যার কারনে আল্লাহর রসূল সাঃ তাদেরকে জাহান্নামি বলেছেন।

জাযাকুমুল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পিতা যদি খাবার নিয়ে আসেন সন্তানদের জন্য, তাহলে সেই খাবার গ্রহণের উপযোক্ত সকল সন্তান সমান সমান অংশীদার। কেউ একজন বেশী খেতে পারবে না।কেউ একজন বেশী গ্রহণ করতে পারবে না। এটা জায়েয হবে না। এবং টাকা দিলেও সবাই সমান অংশীদার। সুতরাং কেউ বেশী নিলে সেটা জায়েয হবে না।হ্যা কোনো খাবার অবশিষ্ট থাকার সম্ভাবনা থাকলে
তখন কেউ একজন বেশী গ্রহণ করতে পারবে।

(২)
সকল সাহাবাই সত্যর মাপকাঠি। কোনো সাহাবা থেকে কোনো কিছু প্রকাশ হয়ে গেলে তারা মৃত্যুর পূর্বে অবশ্যই ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছেন।সুতরাং সাহাবাদের সকলই সত্যর মাপকাঠি। যে কাউকে অনুসরণ করা যাবে।

ذہب جمہور العلماء إلٰی أن الصحابۃَ رضي اللّٰہ عنہم کلُّہم عدول قبل فتنۃ عثمانؓ و عليؓ وکذا بعدہا ولقولہٖ علیہ الصلاۃ والسلام : ’’ أصحابي کالنجوم بأیّہم اقتدیتم اہتدیتم۔‘‘ (شرح الفقہ الأکبر لملاعلی القاریؒ، ص:۶۳)
জুমহুর উলামায়ে কেরামের মত সমস্ত সাহাবা আদিল,হযরত উছমান রাযি ও আলী রাযি এর ফিতনার আগে ও পরে।  কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আমার সাহাবারা তারকার মত।যে কাউকে তোমরা অনুসরণ করলে, তোমরা হেদায়ত প্রাপ্ত হবে।( শরহুল ফেকহিল আকবার-৩)

আমানতের খেয়ানতের পর তিনি তাওবাহ করেছে।আত্মহত্যা কারী সম্পর্কে বলা যায়, তিনি মুনাফিক ছিলেন।
ذكر جماعة من شراح الحديث على أن هذا الرجل اسمه قُزمان، بضم القاف، الظفري، قال الخطيب:"وكان من المنافقين". [شرح النووي حديث (112)]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...