আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/আমার বড় বোন দ্বীনি না।আমার তাকে সাহায্য করার সময় কোনো কোনো সময় ভাবতে হয় এতে আমার গুনাহ হবে কিনা!দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে আমার গুনাহ হবে ওকে সাহায্য করলে তখন আমি সাহায্য না করতে চাইলে ও আমার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করে।বা হয়তো ভাবে আমি ইসলাম বেশি বুঝি বা মানি তাই গোড়ামী করছি।এতে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং গ্যাপ হচ্ছে। আমি ওকে ইসলামের শিক্ষাগুলো ভালকরে বুঝাতে পারিনা।আমারো দোষ আছে আমি আসলে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারিনা।এতে ওর মনে একটা ধারণা চলে এসেছে আমি গোড়ামী করি বা অন্য খারাপ কিছু।এখন ও যদি বলে আমার পাশে থাকা হেডফোন ওকে দেওয়ার জন্য বা মোবাইল চার্জার দেওয়ার জন্য এতে কি আমার গুনাহ হবে?কারণ হেডফোন দিলে ও খারাপ কিছু যেমন গান শুনবে।আবার চার্জার দেওয়ার ফলে মোবাইল চার্জ হওয়ার পর ও যখন মোবাইল চালিয়ে খারাপ কিছু দেখবে যেমন নাটক সিনেমা বা হারাম রিলেশনশিপ এমন কিছু করবে তখন কি আমার গুনাহ হবে?

আবার আমি নিজ থেকে  ওর মোবাইল চার্জ দিলেও কি সমস্যা? মোবাইল চার্জ না দিলেও একটা প্যাচ লাগবেই আমাদের মধ্যে

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সরাসরি গোনাহের কাজে সাহায্য করা হারাম ও নাজায়েয।
আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)

তবে সরাসরি গোনাহের কাজ না হলে, অর্থাৎ কোনো কাজে হালাল হারাম উভয়টির সম্ভাবনা থাকলে, সেই কাজে সহায়তা করা যাবে। যেহেতু হেডঠোন দ্বারা গান বা গজল উভয়টার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই হেডফোন আগ বাড়িয়ে দেওয়া নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...