ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার বিবরণ পড়ে ধীরসুস্থে আমরা বলছি যে,
(১)
স্ত্রীর উক্ত কথা " শয়তান এর ধোকায় পরে কিন্তু তখন মানুষের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়"। এইখানে স্ত্রী নিজের দিকে ইংগিত করে কিছু বলে নাই। স্বামীকে সর্তক করতে বলেছে। এতে করে তালাকের মজলিস হবে না।
(২)
স্বামী যদি বলে "এইসব এর ভয় দেখিয়ে তোমাকে শিক্ষা দিতে হবে(মানে বউকে ঠিক করবে)"। এটি কেনায়া বাক্য নয়। এটি বলাতে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
"কথা বলবা না" এটিও কেনায়া বাক্য নয়।
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।
فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য। কেনায়া তালাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049