আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
dr. mohammad monzur-e-elahi এক ভিডিও তে দেখলাম বলল মুসলমান দের ক্ষতি তে খুশি হলে নাকি ঈমান থাকে না।

১.মুসলিমদের ক্ষতিতে খুশি হলে কি ঈমান ভাঙ্গে?

২.হলে কোনো ধরণে ক্ষতিতে খুশিতে ঈমান ভাঙ্গে?

৩.আর এটা  কি কিছু সংখ্যক মুসলিসের ক্ষতি নাকি পুরো মুসলিম জাতি র ক্ষতিতে এটা হয়

৪.এটা দুনিয়াবি ক্ষতি নাকি পরকালীন ক্ষতি?

৫.ঈমান না থাকা আবস্থায় ওযু করলে ওযু হবে?

৬.ইসলামের কোনো কিছু শোনা জানা পর যদি মনে মধো হাসি আসা আসা আবস্থার সাথে সাথে যদি সে সাবধান হয়ে আর না হাসে যায় তবে কি ঈমান থাকে?

৭.দুই সিজদার মাঝে তিন তাসবিহর বেশি পরিমান বসলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে(যদিও আমি দুই সিজদার মাঝে চুপ ছিলাম না)?

৮.পাক নাপক মনে করলে আর নাপাকে পাক ঈমান ভাঙ্গে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত ফাতাওয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে,

Fatwa:1117-975/sd=1/1441
تجدید ایمان کے لیے کسی عالم کے پاس جاکر کلمہ پڑھنا ضروری نہیں ہے اور نہ اس کے لیے غسل کرنا ضروری ہے؛ بلکہ خود ہی اگر کلمہ شہادت پڑھ لے، تو ایمان کی تجدید ہوجائے گی، واضح رہے کہ کفر یہ یا شرکیہ کلمات کی تعیین آسان نہیں ہے، اس لیے اگر کسی نے کوئی ایسا جملہ بولا ہو، تو پورے الفاظ نقل کرکے حکم معلوم کرلینا چاہیے اور عموما جو بڑے گناہ مسلمان سے صادر ہوتے ہیں، ان سے ایمان خارج نہیں ہوتا، صرف فسق لازم آتا ہے، جو سچی توبہ کرنے سے معاف ہوجاتا ہے، ہاں اگر شرک یا کفر کے قبیل کا گناہ ہو، مثلا: غیر اللہ کو معبود سمجھ کر اس کے سامنے سجدہ کرنا، تو اس سے ایمان خارج ہوجاتا ہے۔
ভাবার্থ-
ঈমান নবায়নের জন্য কোনো আলেমের নিকট যাওয়া জরুরী নয়।এবং গোসল করাও জরুরী নয়। বরং নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে নিলেই হবে।ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, কুফরি এবং শিরকি শব্দ বা বাক্যকে চিহ্নিত করা ততটা সহজ কাজ নয়। এই জন্য বলা যায় যে, যদি কেউ কিছু বলে বা  লিখে,তাহলে সম্পূর্ণ বক্তব্য কোনো মুফতি সাহেবের নিকট উল্লেখ করে বুঝে নিতে হবে যে, বাক্যটাতে শিরক রয়েছে কি না? সাধারণত মুসলমান থেকে যে সব বড় বড় গোনাহ হয়ে থাকে, এগুলো ফিসক বা গোনাহ/কবিরা গোনাহ,যা তাওবাহ দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হ্যা, যদি শিরক বা কুফরির নিকটবর্তী কোনো গেনাহ হলে, যেমন, আল্লাহ ব্যতিত ভিন্ন কাউকে খোদা মনে করে সিজদা দেওয়া, এমনটা করলে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কোনো মুসলমান বিপদে রয়েছে, সে মুসলমান হওয়ার কারণে দ্বীনদার হওয়ার কারণে অন্য কোনো মুসলমান যদি তার বিপদে হাসে, তাহলে যে মুসলমান হাসবে, তার ঈমান থাকবে না।নতুবা ঈমান থাকবে, যদিও সে গোনাহগার হবে।

(২)
মুসলমান হওয়ার কারণে কারো ক্ষতিতে অন্য কোনো মুসলমান হাসলে, তার ঈমান থাকবে না।

(৩)
ব্যক্তিকেন্দ্রিকও হতে পারে আবার সমষ্টিগতও হতে পারে।

(৪)
যেকোনো প্রকার ক্ষতি হতে পারে।

(৫)
না, অযু হবে না।

(৬)
জ্বী, ঈমান থাকবে।

(৭)

চুপ না থাকলে বরং দু'আ দুরুদ পড়তে থাকলে তিন তাসবিহের চেয়ে বেশী সময় থাকলেও সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

(৮)

পাক-কে নাপাক আর নাপাক-কে পাক মনে করা কুফরি।সুতরাং ঈমান থাকবে না। ঈমান নবায়ন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...